প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২২, ২০:৪৪
চাঁদপুরের ব্যবসায়ী হান্নান নিখোঁজের ১৩ দিন পর বেনাপোল থেকে লাশ উদ্ধার
চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড বিষ্ণুদী এলাকার ব্যবসায়ি হান্নান মৃধা(৩৭) নিঁখোজের ১৩ দিন পর তার লাশ যশোর বেনাপোল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শ্বশুড় বাড়ি যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। অপহরণকারীদের
মুক্তিপণের টাকা দিয়েও হান্নানকে জীবিত ফিরে পায়নি তার বৃদ্ধ পিতা-মাতা।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, রোববার ১৩ মার্চ সকাল ৯ টায় যশোরের শার্শা থানা পুলিশ খবর পেয়ে একটি গাছে হান্নানের মরদেহ মাটিতে পা লাগানো ঝুলন্তবস্থায় উদ্ধার করেছে। পরে তারা চাঁদপুরে হান্নানের বাড়িতে খবর দিলে দুপুর ১টায় হান্নানের লাশ আনতে পরিবারের সদস্যরা যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
হান্নান মৃধা চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী মৃধা বাড়ির আবুল হোসেন মৃধার ছেলে। বিষ্ণুদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে তার একটি বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্য রুবেল জানান, গত ১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে হান্নান দোকান বন্ধ করে তার শ্বশুড় বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের প্রধানিয়া বাড়িতে শিশু পুত্র সন্তানকে দেখতে যায়। শ্বশুড় বাড়ি থেকে ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়।
হান্নানের পরিবারের লোকজন জানায়, ৭ মার্চ রাত ৩ টা থেকে বেনাপোল থেকে অচেনা ব্যাক্তিরা মোবাইলে কল দিয়ে নিখোঁজ হান্নান তাদের কাছে বলে জানায়। তাকে ফিরে পেতে মুক্তিপণ ১ লাখ টাকা চাওয়া হয়। হান্নানের ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা তাদের কথা বিশ্বাস করে নিখোঁজ হান্নানকে তাদের সাথে কথা বলতে বললে হান্নান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেছিল ভাই আমাকে বাঁচান। তারপর তারা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন। তবে ৫০ হাজার টাকা পরিবাবের পক্ষ থেকে বিকাশ করা হয় বলে জানা যায়।
এদিকে, হান্নান হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে বিষ্ণুদী এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
হান্নান অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।