প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শ্বেতা শতাব্দী এষ- তারুণ্যের এই কাব্য প্রদীপকে বাঁচিয়ে তোলার আকুতি
‘ভাষাহীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।
জীবনের মাত্রাগুলো অনায়াসে মিলেমিশে মোহনা তৈরি করছে।
আমি সেই মোহনায় কোনো দিক খুঁজে পাই না।
কিছু প্রশ্নের অমীমাংসা নিয়ে ভোর হয়ে যায়।
তারপরও অন্ধকার কাটে না।
এ-সমস্ত ভাবনা শুধু নেতিবাচকতার চিহ্ন নয়, বরং
এক গভীর তরঙ্গে আমার অস্তিত্বের আত্মপ্রকাশের একেকটি চিত্রকল্প
যারা আমাকে কেবল আরো ভাষাহীনতার দিকেই নিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ’!
(কবিতা : মুহূর্তনামা)
জন্মের ছয় মাস বয়স থেকে দুরারোগ্য থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত তরুণ কবি শ্বেতা শতাব্দী এষ। এই মরণব্যাধিতে বিপর্যস্ত হয়েও নিজেকে গড়ে তুলেছেন প্রকৃত যোদ্ধা হিসেবে। থ্যালাসেমিয়া ও জীবনে বড় বড় চারটি অপারেশনের ভেতর দিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বেঁচে ওঠার যুদ্ধটা তাকে করে তুলেছে আরো অপ্রতিরোধ্য, আরো সাহসী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করার পরে তিনি চেয়েছিলেন স্বাবলম্বী হয়ে জীবনটাকে আরো গুছিয়ে নিতে। কিন্তু সম্প্রতি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শ্বেতা এখন এগিয়ে যাচ্ছেন ভাষাহীনতার বলয়ে, বাকরুদ্ধতার আশ্রয়ে। জীবন থমকে দাঁড়িয়েছে মৃত্যুর কাছাকাছি। জীবনের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, সেজন্য প্রয়োজন ৮০ লক্ষাধিক টাকা।
২০০৯ সালে শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের কারণে অপারেশন করে প্লীহা অপসারণ করার পর নানারকম জটিলতায় বিপর্যস্ত হন শ্বেতা। মাত্রাতিরিক্ত আয়রন ও হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে তার যকৃত মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল অনেকদিন থেকেই। এরই মাঝে যেহেতু তাকে প্রতি মাসে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করতে হয়, এই রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমেই ২০২২-এ তিনি ‘সি ভাইরাস’-এ আক্রান্ত হন। ১ বছর চিকিৎসা নেবার পর সি ভাইরাস নেগেটিভ হয়। নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরও এ বছরের জুলাই মাসে তিনি আক্রান্ত হন লিভার ক্যান্সারে।
এ পর্যায়ে পরিবার, আত্মীয়-বন্ধুদের সহায়তায় ভারতের দিল্লির একটি হাসপাতালে তার রেডিওথেরাপি শেষ হলেও পথ অনেকটা বাকি। এবার অপেক্ষা ট্যার (TARE) থেরাপির জন্য। হাতে আছে আর মাত্র ২৫ দিন সময়। কারণ রেডিওথেরাপি নেয়ার পর নির্ধারত সময়ের মধ্যে ট্যার (TARE) নিতে না পারলে টিউমারগুলো আবার তৈরি হতে শুরু করবে। তখন আর কিছুই করার থাকবে না। কিন্তু সেজন্যে জরুরি ভিত্তিতে লাগবে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা! আর ট্যার থেরাপির পর শরীর সায় দিলে করতে হবে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। সেখানে লাগবে আরও ৫৫ লক্ষ টাকা প্রায়!
শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী শ্বেতা। অসুস্থতা নিয়েও জীবনযুদ্ধে নিজের মেধা ও মনন দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইতোমধ্যে তার পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। 'বিপরীত দুরবিনে' এবং 'ফিরে যাচ্ছে ফুল' কাব্যগ্রন্থদ্বয়ের জন্যে তিনি অর্জন করেন 'আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার'- ২০১৭ (বাংলাদেশ) এবং 'আদম সম্মাননা'- ২০১৮ (ভারত)।
শ্বেতার চিকিৎসার্থে মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে মানুষ দাঁড়াক আরেকজন মানুষের পাশে। সহযোগিতা করুক তাঁর যথাযথ উন্নত চিকিৎসার জন্যে। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। এই কথাটি হৃদয়ে ধারণ করে আসুন, কবি শ্বেতা শতাব্দী এষকে বাঁচাতে সবাই এক সাথে হই।
বিকাশ/নগদ : ১। মন্দিরা এষ-শ্বেতার বোন (বিকাশ) - ০১৯২১০০৬৬২৭,
২। ছবি ভৌমিক - শ্বেতার মা (বিকাশ ও নগদ)- ০১৯৩১৫৫১৮৬৫
ধন্যবাদান্তে,
এরশাদুল হক টিংকু
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
কুল এক্সপোজার
০১৭১১৪৭২৩৬৭, ০১৬৭১১১৮৬২৬
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন : মন্দিরা এষ- ০১৯২১০০৬৬২৭, অর্ণব- ০১৬৭১১১৮৬২৬