প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মতলব (দক্ষিণ) উপজেলা পিংড়া বাজার সংলগ্ন সরকার বাড়িস্থ শ্রী কৃষ্ণ রাস মন্দিরের ১০০তম সার্বজনীন হরিনাম উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এই উপলক্ষে শ্রী কৃষ্ণ রাস মন্দিরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক ভক্ত নর-নারীর উপস্থিতিতে গত ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শততম বৎসর স্মরণে ১০০টি মঙ্গলঘট স্থাপন, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও মহা হরিনাম কীর্ত্তনের শুভ অধিবাস সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করেন কানাই সরকার (মাস্টার)।
২৬ নভেম্বর ২৪ প্রহর হরিনাম কীর্ত্তন চলাকালীন মধ্যাহ্নে অনুষ্ঠিত হয় মহোৎসব। মহোৎসবে চাঁদপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত অনুরাগীগণ মহাপ্রসাদ আস্বাদন করেন। মহোৎসব অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা সন্তোষ চন্দ্র দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর রনজিত কুমার বণিক, সাবেক সদস্য সচিব রাধা গোবিন্দ গোপ, জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডঃ মধুসূদন কর, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি তপন সরকার, সদস্য প্রশান্ত কুমার সেন, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, কার্যকরী সদস্য নির্মল চন্দ্র পাল, পিংড়া সরকার বাড়ি কীর্ত্তন কমিটির সভাপতি ডাঃ দুলাল চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি বাবুল চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক মানিক রঞ্জন সরকার, কার্যকরী সদস্য সুজন চন্দ্র সরকার, দুলাল চন্দ্র দাস, খোকন চন্দ্র রায়, উত্তম চন্দ্র রায়, বিপ্লব চন্দ্র সরকার, অসিত চন্দ্র সরকার, তারেকেশ্বর ঢালী প্রমুখ। আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার অরুণোদয়ে জলকেলি ও নগর কীর্তনের মধ্যে দিয়ে ২৪ প্রহরব্যাপী হরিনাম কীর্ত্তনের শুভ সমাপ্তি ঘটবে। এদিন সন্ধ্যায় শতবর্ষ উদযাপনে টেলিভিশন ও বেতার কণ্ঠ শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে হরিনাম কীর্ত্তন পরিবেশন করেন শ্রী অমৃত বাণী সম্প্রদায় (নেত্রকোনা), শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য সম্প্রদায় (ভোলা), শ্রী শান্তি হরি সম্প্রদায় (নড়াইল), শ্রী গোপাল সম্প্রদায় (সিলেট), শ্রী মা প্রতিমা সম্প্রদায় (বড়গুনা), শ্রী ওঁকার সম্প্রদায় (বরিশাল) ও শ্রী রাম সংঘ (চাঁদপুর)।
অনুষ্ঠানের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় মতলব থানা (দক্ষিণ)-এর অফিসার ইনচার্জ রিপন বালা অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শন করেন।
পিংড়া সরকার বাড়ির বাৎসরিক উৎসবকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মাঝে পারিবারিক মিলন ঘটে বলে জানান শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য সুজন সরকার। তিনি জানান, কীর্ত্তন উপলক্ষে পারিবারিক সদস্যসহ যে সকল আত্মীয়-স্বজন বাইরে অবস্থান করেন তাদের অনেকেই বাড়ি-ঘরে আসায় উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।