প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১২ সেপ্টেম্বরের পূর্বেই শিক্ষার্থীদের হাত ধোঁয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে রাখলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলার চির্কা চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার এ স্কুলে গিয়ে দেখা গেলো হাত ধোয়ার স্থানে টাইলস্ লাগাচ্ছে মিস্ত্রিরা। পুরো প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা থাকলেও স্থানে স্থানে ময়লা আবর্জনা দেখা গেছে।
করোনা মহামারি কাটিয়ে প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর রোববার খুলেছে বিদ্যালয়গুলো। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি বিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিলো দেখার মতো। শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত ছিলেন শিক্ষকরাও। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রথম দিনে পড়াশোনার চেয়ে সচেতনতাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি।
এদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিন্ন চিত্র। সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থীর জন্যে তখন পর্যন্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে পারেন নি কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকরা ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যে বিকেলের শিফটে এবং সকালের শিফটে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছে। কিন্তু নিজেদের এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে হাত ধোয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা না করাটি ছিল দৃষ্টিকটু। বিদ্যালয় মাঠে নানা স্থানে ময়লা আবর্জনা দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম নুরুল আমিন জানান, কয়েকদিন পূর্বে অর্থ পেয়েছি। টাকা পেয়েই কাজ শুরু করছি, ২/৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকার বিষয়ে তিনি জানান, বিদ্যালয় মাঠে হাট বসে, তাই ময়লা আবর্জনা। যদিও সর্বশেষ শুক্রবার দিন হাট বসে বিদ্যালয় মাঠে। এ সময় তিনি প্রভাবশালীদের কারণে মাঠ পরিস্কার রাখতে পারেন না বলে জানান।
প্রতিষ্ঠানের এসএমসির সভাপতি মহিউদ্দিন সরকার জানান, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক করিৎকর্মা হলে, সকল কাজই যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। তিনি এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরউজ্জামান বলেন, জুন মাসে টাকা পাওয়ার পরেও কেনো এতো দেরি করলো, তা দেখে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিদ্যালয় ক্লাস শুরুর প্রধান শর্ত শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা।