শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

২ জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়নি ৯ বছর
স্টাফ রিপোর্টার ॥

শিক্ষক মাহমুদ আলম লিটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দুই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন। বিষয়টি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশের পর দৃষ্টিগোচর হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকলের। সমালোচিত হয় বিভিন্ন মহলে। তবে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মতিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রায়পুর আলীয়া মাদ্‌রাসায় তো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস। প্রভাষক মাহমুদ আলম লিটন কী করে আবার চাঁদপুরের স্কুলে ক্লাস নেয়! ‘মাহমুদ আলম লিটন প্রায় ৯ বছর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর এবং চাঁদপুরের বাবুরহাটে শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন, আর এটা কী করে সম্ভব’ এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটাতো আমার বোধগম্য নয়। সেখানে (চাঁদপুরে) কি আবার রাতে ক্লাস হয় নাকি? প্রতিবেদক বললেন, না। যাক আমি অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারীর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন শিক্ষক দুই জায়গায় শিক্ষকতা করতে পারেন না। আর যদি দুই কর্মস্থলেই তিনি ইনডেক্সধারী শিক্ষক হয়ে বেতন নেন তাহলে তো তিনি অভিযুক্ত। তবে যেহেতু আমি অভিযোগটি পেয়েছি খতিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য, শিক্ষক মাহমুদ আলম লিটন সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে, সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ ৯ বছর দুই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে বেতন ভোগ করছেন। ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও নিজের এমপিওভুক্ত পদের প্রতিষ্ঠানে যোগদান না করে খণ্ডকালীন পদের প্রতিষ্ঠানে যোগদান ও ক্লাস পরিচালনা করেন। চাঁদপুর কণ্ঠে ১৩ সেপ্টেম্বর এই সংবাদ প্রকাশের পর তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ও দুপুরে দু’টি প্রতিষ্ঠানেই ক্লাস নেন।

বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাহমুদ আলম লিটন আমার খণ্ডকালীন শিক্ষক। তবে সে কোথায় চাকরি করে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যখন আমার ক্লাসের প্রয়োজন হয় আমি তাকে নক করলে সে আমার কলেজ শাখার ক্লাস নেয়।

এ বিষয়ে মাহমুদ আলম লিটনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রায়পুর কামিল মাদ্‌রাসার ইংরেজি প্রভাষক পদে কর্মরত আছি। আমি চাকরিবিধি অনুসরণ করে মাদ্‌রাসায় যথাযথভাবে পাঠদান করি। আমার বাসা চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকায়। আমি বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের একজন নিয়মিত সাবেক ছাত্র ছিলাম। সে সুবাদে আমি এই প্রতিষ্ঠানের একজন হিতাকাক্সক্ষী হিসেবে মাঝে মধ্যে আমার সময় সুযোগ হলে ক্লাস নেই এবং বিদ্যালয়ের গরীব ও অসহায় মেধাবী ছাত্রদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করি। আমি এই বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে কখনোই টাকা নেই না বা কোনো রকম খারাপ আচরণ করি না। কেননা আমিও এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তারাও এখানকার শিক্ষার্থী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়