দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষার্থীরা ফিরে পেলো তাদের প্রিয় চারণ ভূমি। চিরচেনা ক্যাম্পাসটি মুখরিত হলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগমনে। এই আনন্দের সাথে যোগ হলো ইব্রাহিম খলিলের হঠাৎ উপহারে। পূর্বে যোগাযোগ ছাড়াই তিনি সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তার একক অর্থায়নে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

১২ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বিআর হাজী আব্দুল আহাদ উচ্চ বিদ্যালয়, বদিউজ্জামানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বদিউজ্জামানপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এই সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় সমাজসেবক মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে অক্সিমিটার, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ও উন্নতমানের কেএন-৯৫ মাস্ক বিতরণ করেন।

সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে মোঃ ইব্রাহিম খলিল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় এবং বই থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। এর খারাপ প্রভাব ইতোমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি। সবদিক বিবেচনা করে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। এখন আমাদের নজর রাখতে হবে যাতে সংক্রমণ বেড়ে না যায়। সেজন্যে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্কুল আঙিনাকে জীবাণুমুক্ত রাখতে স্যাভলন দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা ভালো থাকলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভালো থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবলীগের সদস্য সচিব এসএম সোহেল রানা, যুবলীগ নেতা আমিন হোসেন এমরান মিজি, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঃ ছোবহান লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা রিপন কারী, জুনায়েদ মানিক, মনির হোসেন প্রমুখ।