প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের সেকদী গ্রামে নদী দিয়ে ভেসে যাওয়া মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেকদী গ্রামের মৎস্যজীবী মোঃ জলিল গাজী জানান, সেকদী গ্রামে দিয়ে বয়ে যাওয়া শাখা ডাকাতিয়া নদী দিয়ে জালে মোড়ানো মাছ ভেসে যাওয়ার সময় তা উঠিয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু ভেসে যাওয়া মাছ আনার কারণে মিথ্যে চুরির অপবাদ দিয়ে একই এলাকার আজগর গাজী, কাদির মিজী, রহমান মিজী ও ইব্রাহিম গাজী আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমার ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এমনকি জলিল গাজী, আব্বাছ গাজী, বোরহান গাজী, নাজির গাজী ও আলামিন গাজীসহ ৫ জনকে আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
জানা যায়, আজগর গাজী, রহমান মিজি, কাদির মিজির নিকট মাছের পোনা বিক্রি করার ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জলিল গাজী পাওনা। সে টাকা চাওয়ার কারণে জলিল গাজীর উপর হামলা করাসহ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। উপায়ান্তর না পেয়ে জলিল গাজী বাদী হয়ে কাদির মিজি, আজগর গাজী, রহমান মিজি ও ইব্রাহিম গাজীকে আসামি করে চাঁদপুরের আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্ষা মৌসুমে সেচ প্রকল্পের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পানি কমিয়ে ফেলা হয়। এতে করে পানি কমে গেলে চর লোহাগড় ঝিলে পানি বেশি থাকার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঝিলের বাঁধ ভেঙে যায়। গত শুক্রবার রাত ১টায় ঝিলের বাঁধ ভেঙে গেলে তার জন্য জলিল গাজী, আব্বাছ গাজী ও বোরহান গাজীকে সন্দেহ করে আজগর গাজী ফরিদগঞ্জ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে জলিল গাজী সঠিক বিচারের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।