প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২২, ০০:০০
গত ২৭ জুন সোমবার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত ‘করণিক থেকে জালিয়াতি করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরকাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হান্নান মিজি।
প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, অত্র বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি ড. হাসান খান এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদার দায়িত্বে থাকাকালীন সময় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের ৫টি দোকান বিক্রি করা এবং দিঘির ইজারার ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে ওই কমিটির সদস্য মোঃ ইব্রাহিম খান তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। শাস্তি হিসেবে ড. হাসান খান এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদারকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাকে সভাপতি করে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় সরকারি বিধি মোতাবেক আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে যে রেজুলেশন বইটি ছিলো, সেটি আমাকে তারা আজো বুঝিয়ে দেন নি। এ বিষয়ে আমি চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, আমি দায়িত্ব নেবার পর বিদ্যালয়ের ৫টি দোকান পুনরুদ্ধার করে বিদ্যালয়ের জিম্মায় নিয়ে আসি। এরপর থেকে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে নানা অপপ্রচার শুরু করে এবং আয়শা খন্দকার নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচার চালাতে থাকে।
বিষয়টি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অত্র বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কানিজ ফাতেমা মহোদয়ের দৃষ্টিতে এলে তিনি ওই আইডির বিরুদ্ধে আমাকে বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করেন এবং আয়শা খন্দকার নামে ফেসবুক আইডির সাথে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের তৎকালীন ৩জন শিক্ষক সরাসরি জড়িত রয়েছেন মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই মামলায় তারা বেশ কিছুদিন হাজতবাসে ছিলেন। এছাড়াও তাদের নিয়োগপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তাদের সনদপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল থাকা সত্ত্বেও কলেজে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষক জাহাঙ্গীর গংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর গং ফরিদগঞ্জের ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে ভানু বেগম নামীয় ভুয়া বাদী নামে আমার বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ করেন। এর মধ্যে তদন্ত করার পর ৫টি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এছাড়াও ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিখিতভাবে জানান, অত্র ইউনিয়নে এই ঠিকানায় ভানু বেগম নামে কেউ নেই। মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন আমার বিরুদ্ধে আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করেন এবং কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড একটি অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশসহ স্থানীয় কয়টি গণমাধ্যমের কাছে এ চক্রটি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছে। এছাড়া আমি এবং বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গণমাধ্যমে উল্লেখিত বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদান করি নি। সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন হওয়ায় আমি প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জিডি ৫০৫/২২