জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)-এর ফরিদগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ের দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। ১৮ মে বিকেলে ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া প্রথম সেমি-ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফরিদগঞ্জ পৌরসভা একাদশ বনাম ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন। ৩০ মিনিট করে ৬০ মিনিটের খেলা শুরুর ১ম মিনিটেই মিডফিল্ডার সাইমুনের সহযোগিতায় দলীয় ক্যাপ্টেন সম্রাটের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভা। খেলার পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হওয়ায় টুর্নামেন্টে এবারের আসরের ফাইনালের টিকেট পায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভা একাদশ।

একই মাঠে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন একাদশ ও ৬নং গুপ্টি (পশ্চিম) ইউনিয়ন। দুই দলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ৯০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয় পেয়ে ফাইনালে উঠে ৬নং গুপ্টি (পশ্চিম) ইউনিয়ন।

ফাইনালে উঠা ফরিদগঞ্জ পৌরসভা একাদশের টিম ম্যানেজার জাকির হোসেন গাজীর কাছে ফাইনালে নিজের দলকে নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবারের টুর্নামেন্টে বরাবরের মতো আমার দল হট ফেভারিট। আজকে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল খেলা দেখেছি। ফাইনালে যারা উঠেছে সে দলের খেলোয়াড়দের তুলনায় আমার দলের খেলোয়াড়রা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। বরাবরের মতো পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আমার দল চ্যাম্পিয়ন হবে বলে আমি ও আমার পুরো দল আশাবাদী।

দলের কোচ মাহাবুব আলম সোহাগ জানান, পরপর তিনবার আমাদের দল উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য আছে। তরিকুল, আবির, সাইমুন, সম্রাটসহ আমার বেশির ভাগ খেলোয়াড় ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলেই আমরা শতভাগ আশাবাদী যে এবারও চ্যাম্পিয়ন হবো।

ফাইনালে উঠা অপর দল ৬নং গুপ্টি (পশ্চিম) ইউনিয়নের কোচ আব্দুর রহিম তপাদার জানান, জয়ের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ আশাবাদী। আমার দলে উল্লেখযোগ্য মিডফিল্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক ও সোহেল নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। ফাইনালে তাদেরকে নিয়ে আমাদের দলের ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি। দলের খেলোয়াড়রা পুরো টুর্নামেন্টের মতো ফাইনালে ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারলে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হবো ইনশাল্লাহ।