শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

শিশুর বয়স দুবছরের আগেই অটিজম শনাক্তে সফলতা
অনলাইন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন গবেষক দাবি করছেন শিশুদের অটিজম শনাক্তে নতুন একটি কৌশল অবলম্বন করে তারা ভালো ফল পেয়েছেন। নতুন এই স্ক্রিনিং টুল ব্যবহার করে ১২ থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে অটিজম শনাক্ত করতে সফল হয়েছেন তারা। অর্থাৎ প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর চেয়ে তারা তিন বছর আগে শিশুদের মধ্যে অটিজম শনাক্ত করতে পারছেন।

অস্ট্রেলিয়ার লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পাঁচ বছরে ১৩ হাজার ৫০০ শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য দিয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, তাদের আবিষ্কৃত নতুন এই টুলটি যে শিশুদের মধ্যে অটিজম রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছিল, পরে দেখা যায় ১২ থেকে ২৪ মাস বয়সী ওই শিশুদের ৮৩ শতাংশের মধ্যে অটিজম রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, এটা প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে তিন বছর আগে অটিজম শনাক্ত করতে পারছে। তারা আরও বলছেন, আর যত দ্রুত কোনো শিশুর অটিজম শনাক্ত হবে, সেই শিশুর চিকিৎসা ফল ততো ভালো হবে।

গবেষক দলের প্রধান জোসেফিন বারবারো বলছেন, যে শিশুদের অটিজম কম বয়সে শনাক্ত হয়, স্কুলে যাওয়ার বয়সে তারা চিকিৎসায় ভালো সাড়া দেয়, মূলধারার বিদ্যালয়ে যেতে পারার সুযোগও তাদের জন্য বেশি থাকে। পরে শনাক্ত হওয়া শিশুদের চেয়ে তাদের সহায়তাও কম লাগে।

অটিজমকে কোনো অসুস্থতা বলে বিবেচনা করা হয় না। এটা শারীরিক এমন কোনো অবস্থাও নয় যা থেকে সুস্থ হওয়াই একমাত্র পথ। যার মধ্যে অটিজম রয়েছে, তার মধ্যে এ অবস্থা সারাজীবন থাকবে। কিন্তু যাদের অটিজম রয়েছে তাদের জন্য অন্যদের সঙ্গে মেশাটা কঠিন, উজ্জ্বল আলো বা বেশি শব্দ তাদের মধ্যে অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করে।

অটিজম শনাক্তে বর্তমানে যেসব পরীক্ষা করা হয়, যেমন : এমণ্ডচ্যাট (দ্য মোডিফাইড চেকলিস্ট ফর অটিজম ইন টডলার্স), এর মাধ্যমে ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে অটিজম শনাক্ত করা যায়।

আর অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের আবিষ্কৃত নতুন টুলটির নাম এসএসিএস। এর দুটি অংশ রয়েছে- এসএসিএস-রিভাইসড আর অন্যটি হলো এসএসিএস-প্রিস্কুল।

বারবারো বলছেন, ১৩টি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘লো রিস্ক কমিউনিটি সেটিংসে’ এমচ্যাট ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ঠিক ফল দিয়েছে, যেখানে এসএসিএস-রিভাইসডের ক্ষেত্রে এ হার ৮৩ শতাংশ।

এসএসিএস আটটি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে ও বাংলাদেশ, চীন, ইতালি, জাপান, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, পোল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যে এটি ব্যবহৃত হয়েছে।

গবেষক দলের প্রধান বারবারো চান এ টুল আরও বেশি করে ব্যবহৃত হোক।

তিনি বলছেন, প্রশিক্ষিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে এই টুল তুলে দিতে হবে, তাহলে তারা শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় অটিজমের স্ক্রিনিংও করতে পারবে। আর সেটা হলে দ্রুততম সময়ে অটিজম শনাক্তের ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, পরবর্তী জীবনে অটিজম শনাক্ত কঠিন হয়ে যায়। কারণ রক্ত পরীক্ষার মতো এর কোনো মেডিকেল টেস্ট হয় না।

চিকিৎসকরা সাধারণত একটি শিশুর বেড়ে ওঠা ও তার ব্যবহার দেখে অটিজমের বিষয়টি শনাক্ত করেন।

জেএএমএ ওপেন নেটওয়ার্কে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়