প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁশ ও গাছের ডালপালায় জাগ দিয়ে প্রকাশ্যে এলাকার কিছু মানুষ অবাধে মাছ শিকার করছে। এসব সুতিজালের ফাঁদ থেকে বাদ পড়ছে না ছোট-বড় কোনো মাছই। নদীর পানি প্রবাহ বাধা সৃষ্টি করে জাগ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান শুরু করেছে চাঁদপুর নৌ পুলিশ। নদীতে দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষায় এবং নদীতে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে একাধিক বাঁশের জাগ উচ্ছেদ করা হয়। বুধবার দুপুরে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলো থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক জাগ উচ্ছেদ করেন। এই উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের হামলার শিকার হতে হয়েছে নৌ-পুলিশকে।
নৌ পুলিশের অভিযানকালে চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর ইউনিয়নের শতাধিক জেলে নৌ পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জাগ উচ্ছেদকাজে নিয়োজিত দুই শ্রমিক আহত হন।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে শত শত অবৈধ জাগ গড়ে তুলেছে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ী জেলে। এতে করে মাছ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা এবং মাছের অবাধ বিচরণ বাধার মুখে পড়ছে। এ ছাড়া যততত্র জাগ দেওয়ায় নৌযান চলাচল হুমকিতে পড়ছে। জাগের কারণে কৃষি ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
তিনি আরও বলেন, আমরা উচ্ছেদ অভিযানে গেলে বেপরোয়া জেলেরা আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা ছুড়ে মারে। এতে আমাদের কাজে নিয়োজিত দুই শ্রমিক আহত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদী থেকে সকল বাঁশের জাগ উচ্ছেদ করা হবে।