বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে হত্যার অভিযোগে সেক্রেটারীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে হত্যার অভিযোগে সেক্রেটারীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতালেব জমাদারকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে হাইমচর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-সিআর-১২৫/২৪।

ঘটনার দীর্ঘ ৪ বছর পর গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে বিচারক বেগম ফারজানা তাবাসসুম মেরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মোতালেব জমাদারের ছেলে আবু তালেব জমাদার।

মামলায় আসামি করা হয় হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৭৪ নেতা-কর্মীকে। এর মধ্যে ২৪জন এজাহার নামীয় এবং ৫০জন অজ্ঞাতনামা।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, মামলার আসামি নূর হোসেন পাটওয়ারী ও তার পিতা মোতালেব জমাদার সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নূর হোসেনকে মনোনয়ন দেন। আর মোতালেব জমাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নূর হোসেন তার লোকজনসহ নির্বাচন প্রচারণাকালীন মোতালেব জমাদারকে মারধর করেন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তবে নূর হোসেন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন মামলা করতে পারেন নি।

বাদী আবু তালেব গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার বাবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা করার সময় নূর হোসেন পাটওয়ারী আমার বাবাকে মারধর ও হাতুড়িপেটা করে। হামলার আঘাতে আমার বাবা দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান। ওই সময় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। আমি আমার বাবার হত্যা মামলায় সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান খান বলেন, আসামীপক্ষ হাসিনা সরকারের প্রভাশালী লোক ছিলেন। পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় এমন মর্মান্তিক হত্যার ঘটনায় তাৎক্ষণিক মামলা করতে পারেননি। মামলা দায়েরে চার বছর দেরি করতে হয়েছে। মামলাটি দায়েরের পর আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন। আশা করি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাদী সঠিক বিচার পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়