প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চলতি মৌসুমে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে বার বার জলাবদ্ধতা
১০ হাজার ৬শ' ৪১ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত
চলতি মৌসুমে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে বার বার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। ১০ হাজার ৬ শ' ৪১ জনের অধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মূলধন হারিয়ে কৃষকের পথে বসার আশংকা তৈরি হয়েছে।
ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর খাল ও সরকারি খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে ও গেছে। খাল গুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় প্রতি বছরই কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে কয়েক ধাপে টানা প্রবল বর্ষণে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের প্রায় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কৃষকরা বার বার জমিতে ফসল চাষ করে উৎপাদনে যেতে পারছে না। ফসল মার খাচ্ছে।
জলাবদ্ধতায় ১০ হাজার ৬শ' ৪১ অধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৬শ' কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। বেশিরভাগ ধান বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটেনি। আবাদ মৌসুম শেষ হতে চললেও ভেজাল বীজ আতঙ্ক বিরাজ করছে চাষিদের মাঝে। তাই ফসল উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
কৃষকরা জানান, এ বছর দফায় দফায় বৃষ্টিতে পানি জমে জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বীজতলা পচে গেছে। জমিগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় চারা রোপণ করতে পারছে না। রোপণকৃত চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। সরকার থেকে প্রণোদনা পাওয়া ধানের বীজও বেশির ভাগ গজায়নি। ফসল উৎপাদন না হলে মূলধন হারিয়ে পথে বসতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, ধাপে ধাপে বৃষ্টি হওয়ায় বার বার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জমির বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় রোপা ধান ও বীজতলা, সবজি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলি মাঠ থেকে পানি যদি না কমে এবং বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ফসল উৎপাদন কমবে।