প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কচুয়ায় বিশাল জনসভায় ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন
ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নকলমুক্ত করে দেশ-বিদেশে যে সুনাম কুড়িয়েছিলাম, তারপরে ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেটা দেশবাসী তথা বিশ্ববাসী অবগত রয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কচুয়ার মাটিতে জনসভা করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। ৫ আগস্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আজকে আমার সকল কথা এই কচুয়াবাসীর জন্যে বলতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও কচুয়ার ৩ জনসহ যে হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতায় দোয়া কামনা করছি। তিনি বলেন, এই কচুয়ার আসন ছিল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর আমি মিলন এ কচুয়ার আসন পরিবর্তন করেছি। গত ১৭ বছর কারা কচুয়াতে চাঁদাবাজি করেছে আপনারা দেখেছেন। ৫ তারিখের পর আমি ঘোষণা দিয়েছি কচুয়ার বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ডসহ আর কোথাও যেন চাঁদাবাজি না হয়। কচুয়ার মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। গত ১৭ বছর কচুয়ায় বিএনপির জন্যে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন যারা, তাদের মধ্যে কালু কমিশনার, সোলেমান ভেন্ডার, হক সাহেব, আলী হোসেন উল্লেখযোগ্য। আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদি সরকারের পতনে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি আমাদের বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আপনারা সকলে এক জোট থাকবেন এই ফ্যাসিবাদি হাসিনার দোসররা যেন আর মাঠে উঠতে না পারে।
ড. এহসানুল হক মিলন গতকাল শনিবার বিকেলে কচুয়া পৌরসভার হযরত শাহ নেয়ামত শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল আবেদীন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী ও সহ-সম্পাদক শারফিন হোসাইনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহিলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজীজ উল্লাহ মাস্টার, আব্দুল মালেক ও আব্দুল খালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজালাল প্রধান, সহ-সম্পাদক মাসুদ এলাহী সুভাস ও ইউসুফ মিয়াজী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নওশের আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা, কড়ইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওঃ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুস সালাম শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক হাবীবুন্নবী সুমন, পৌর যুবদলের সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরহাদ হোসেন, সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন আবেগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইস উদ্দিন চৌধুরী, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম (শরিফ) প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।