রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
মাদ্রাসা অধ্যক্ষের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে মুহূর্তেই দলীয় রাজনীতি পরিবর্তন করে সরকার দলীয় রাজনীতি করার সাথে সাথে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হিসেবে নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে মাদ্রাসার অর্থ লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ফরিদগঞ্জের এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে তার পদ থেকে অব্যাহিত দানের আবেদন করেছেন মোঃ ইসমাইল হোসেন নামে এক সাবেক ছাত্রনেতা। গতকাল ২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই সাবেক ছাত্রনেতা উপজেলার রামদাসেরবাগ সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন।

ইসমাইল হোসেন জানান, মোঃ মিজানুর রহমান একজন চতুর ব্যক্তি। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ওলামা দলের ফরিদগঞ্জ শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি দ্রুত নিজের দল পরিবর্তন করে ওলামা লীগের সভাপতি হন। এছাড়া তিনি রামদাসেরবাগ সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে এই সুযোগে নানা অনিয়ম করেছেন। তাই তিনি এই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাই ইউএনও বরাবর তার অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন তিনি। তিনি আবেদনে লিখেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার অর্থ লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ওলামা লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তার প্রমাণ হলো তার আলিশান বাড়ি। একই সাথে তিনি ওলামা লীগের সভাপতি এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দুটি পদ নিয়ে জাতির ক্ষতি করার অধিকার নেই। এমতাবস্থায় তাকে অত্র মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেয়া একান্ত প্রয়োজন।

এদিকে ওই এলাকার এক অধিবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে পোস্ট করে লিখেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়ানো ঠিক না। তিনি মহান পেশা শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত। ফরিদগঞ্জের একটা মাদ্রাসার সুপারকে দেখলাম, ২০০৯ সালে থেকে ২০১৪ সালে বিএনপি, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ। আবার ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ....ভাই লীগ। আবার ২০২৪ সালে জাতীয় পার্টি। এমন সুপারের পদত্যাগ চাওয়া কি ভুল হবে?

এ বিষয়ে মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়