শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

মৈশাদিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
মৈশাদিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে দেড় কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত সিংহভাগ কাজ পড়ে আছে সড়কটির। কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসিকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষা মৌসুমে কাজ শেষ না হলে আরও দুর্ভোগে পড়বেন হাজার হাজার বাসিন্দা। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে কাজের গুণগত মান ঠিক করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশল অধিপ্তর সূত্র ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৈশাদী ইউনিয়নের তালতলা বাজার থেকে পালকান্দি পর্যন্ত নির্মাণাধীন এই সড়কটি হচ্ছে দেড় কিলোমিটার। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা ছিলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কাজের সিংহভাগ পড়ে আছে।

সড়কটির পালকান্দি থেকে শুরু করে মৈশাদী পর্যন্ত অধিকাংশ জায়গায় দেখা গেল বালু ভরাটের পর বাকি কাজ থমকে আছে। বালুর সাথে ইটের কনা দেয়ার কথা থাকলেও নেই। আর যেসব স্থানে কনা দেয়া হয়েছে সেখানে ব্যবহার হয়েছে ইটভাটার নিম্নমানের ও পরিত্যক্ত ইটের অংশ। সড়ক সমান করতে গিয়ে ওইসব কনা রোলার মেশিনে গুঁড়ো হয়ে অনেকটা নিশ্চিহ্ন অবস্থায়।

মৈশাদী গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হোসেন বাবু ও মোঃ রফিক বলেন, সড়কটি নির্মাণের শুরুতে অনিয়ম শুরু হয়েছে। গাইডওয়াল দিতে গিয়ে পাকাকরণ কাজে কম সিমেন্ট ব্যবহার এবং রড দেয়া হয়নি। এরপর গাঁথুনির কাজ সঠিকভাবে করা হয়নি। আমরা প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন তাদের ইচ্ছেমত কাজ করেছে।

সড়কের তালতলা অংশের বাসিন্দা মজিবুর রহমান মিজি ও আবদুর রহমান খান বলেন, আমরা এলাকার অনেক সড়ক নির্মাণ কাজ দেখেছি। কিন্তু এত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখিনি। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ নিয়ে গড়িমসি করছে। বছর পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

আরেক বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, সড়কটি নির্মাণ কাজে বড় অনিয়ম হচ্ছে। আগের চাইতে সড়ক নিচু হয়ে যাচ্ছে। উঁচু করা না হলে বর্ষা মৌসুমে পানি উঠে যেতে পারে। একই সাথে গাইডওয়াল হয়েছে নিম্নমানের।

তালতলা বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম মিজি বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেননি। আমরা চাই সড়কটি যেনো সঠিকভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।

ঠিকাদার নান্টু মিয়া বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হতে পারে। যেসব স্থানে সমস্যা হয়েছে সেগুলো সমাধান করা হবে।

চাঁদপুর সদরের উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আইয়ুব খান সড়কটির কাজের তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে হাইমচর উপজেলার মেসার্স স্পিহা কনস্ট্রাকশন। কাজের শুরুতে স্থানীয়ভাবে সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে সমস্যা থাকলেও তা ঠিক হয়ে যায়। কাজের অনিয়মের বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। এরপরই ঠিকাদারকে নির্বাহী প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়। সঠিকভাবে কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়