প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
শপথ নিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ দুই ভাইস চেয়ারম্যান
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে চতুর্থ ধাপে গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদার এবং ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন মনির ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম শপথগ্রহণ করেছেন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম গতকাল ৩ জুলাই বুধবার সাড়ে বেলা ১১টায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১২টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ শপথগ্রহণ করেন।
এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খাজে আহমেদ মজুমদার বলেন, আজকের এই শপথগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের প্রতি আমার দায় আরো বেড়ে গেলো। আমি অবশ্যই নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এই কঠিন দায়িত্ব পালন করতে সচেষ্ট থাকবো।
তিনি বলেন, ফরিদগঞ্জের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তারা নিজেদের পবিত্র আমানত ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করেছে। ইতিপূর্বে আমি যেভাবে মানুষের জন্যে কাজ করেছিলাম, এখনো তাই করবো। এই জয় আমার একার নয়, এই জয় ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসীর। এ জয়ের মাধ্যমে আমি মানুষের কল্যাণময় কাজের জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।
তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান, পৌরসভার মেয়র ও উপজলো আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীসহ নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত পর্র্যায়ের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্যে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সকলের প্রতি।
অন্যদিকে শপথগ্রহণের পর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন মনিরও সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন জীবনের যে যাত্রা শুরু হলো, তা যেনো মসৃণ হয়, এজন্যে সকলের দোয়া চাই।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম বলেন, আবারো ভোটাররা আমাকে ভালোবেসে বিজয়ী করার পর আবারো শপথ নিলাম। এবার আরো দায়িত্ব বেড়ে গেলো।
এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে খাজে আহমেদ মজুমদারের সফরসঙ্গী ছিলেন পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ার্যান শাহআলম শেখ, হারুনুর রশিদ, বুলবুল আহমেদ, আলমগীর হোসেন রিপন, আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, শরীফ খান, মাহমুদুল হাসান মিরাজসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকগণ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মী সার্কিট হাউজে জড়ো হন। ফলে সার্কিট হাউজ চত্বর একখণ্ড ফরিদগঞ্জে পরিণত হয়।