প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে সাংবাদিকের উপর হামলা
চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক একাত্তর কণ্ঠের কচুয়া প্রতিনিধি সৈয়দ আরাফাত ছামী হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল সোমবার কচুয়ার রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজ গেইটের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগ মর্মে জানা গেছে, সোমবার একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ছামীর বন্ধু মেহেরাব হোসেন। মেহেরাব পরীক্ষার হলে যে আসনটিতে বসেছিল তাকে ওই কলেজের এক ছাত্র তার আসন থেকে উঠে যেতে বললে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে মেহেরাবকে মেরে তার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে ফেলে। পরীক্ষা শেষে মেহেরাব কেন্দ্র থেকে বের হলে তার বন্ধু একাত্তর কণ্ঠের কচুয়া প্রতিনিধি সৈয়দ আরাফাত ছামীকে সে মারামারির কথাটি জানায়।
এ সময় দুজনে মিলে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামানে নিকট মীমাংসা করার জন্য বলে। দুই বন্ধু অধ্যক্ষকে অবহিত করে কলেজ থেকে বের হয়ে গেইটের বাইরে আসলে ওই কলেজের একই শ্রেণীর দুই ছাত্র মুনতাসি ও সাখাওয়াত ২০/২৫ জন মিলে ছামীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় এসএস পাইপ দিয়ে তার মাথা, পিঠ ও হাত রক্তাক্ত জখম করে এবং তার হাতের নখ উপড়ে ফেলে। এ সময় ছামী ও মেহেরাব দৌড়ে জীবন রক্ষার্থে গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে অবস্থান নিয়ে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন ছামীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। ছামী ও তার বন্ধু মেহেরাব বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহত ছামী বাদী হয়ে মুনতাসির, সাখাওয়াত ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্যে কলেজ গভর্নিংবডির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া দুই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ অফিস কক্ষে উপস্থিত হওয়ার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার বিস্তারিত জেনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।