রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

হাইমচর উপজেলার কর্মচারী তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে

চাঁদপুর প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগীদের সাংবাদিক সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগীদের সাংবাদিক সম্মেলন

হাইমচর উপজেলার তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া নামীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক আউটসোর্সিং কর্মচারীর ও তার শ্বশুর সহিদ মিজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। গতকাল বুধবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফরিদ আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম ভূঁইয়া বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া হাইমচর উপজেলার দীর্ঘদিন যাবত আউটসোর্সিং পদে কর্মরত। উক্ত পদের ক্ষমতাবলে মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এলাকার মানুষের নিকট নিজেকে উপজেলার একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় প্রদান করেন। কথিত কর্মচারী তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, তার ছোটভাই নজরুল ইসলাম (লিটন)সহ বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষকে তার স্ত্রী রেহানা বেগম ও শ্যালক শরিফুল ইসলামকে বাদী বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে অবৈধভাবে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদকারীদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১২ মে মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার বাবা আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে ২০ মে আহত আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জিআর ৭৪, ২০/০৫/২০২৪খ্রিঃ। মামলা করার পর মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় অত্যাচার ও তাণ্ডব চালাতে থাকে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ২ জুন মানববন্ধনসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করা হয়। এতো কিছু করার পরও তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাজুল ইসলারের বিরুদ্ধে আনিত জিআর ৭৪ মামলা হতে অব্যাহতি দেয়ার জন্যে ২০ মে উল্লেখিত স্মারক নং ০৫.৪২.১৩৪৭.৫২৯.০১.০১৪.২৪-৫৩৫ প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং ১৬২৯ প্রতিবেদন পেশ করেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, তাজুল ইসলামের ছোট ভাই লিটন ভূঁইয়া এলাকায় সুপারি চুরি, সিঁদকাটা, সন্ত্রাসী কায়দায় চাঁদা দাবি করে মানুষকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করাসহ তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় সবসময় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে জীবনযাপন করে আসছেন। ইতিপূর্বে বিভিন্ন মহলে দরখাস্ত করলেও সে প্রভাব ও ক্ষমতা খাটিয়ে তা নিষ্পত্তি করে দেয়।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, এটা ব্যতীত সর্বমহলে প্রভাব খাটিয়ে তার শ্বশুর সহিদ মিজি নামীয় ব্যক্তির নামে এলাকার নিরীহ মানুষের জমির দলিল জাল করা, ভূমি আত্মসাৎ করা, প্রভাব খাটিয়ে খারিজ খতিয়ান করাসহ নিরীহ মানুষদের সর্বহারা করে ভূমি ছাড়া করে ফেলে। উপজেলা ভূমি অফিসে প্রয়োজনীয় দলিল, নকল, খারিজ করতে আসলে তাজুল ইসলাম বিভিন্নভাবে উপরোক্ত সকলকে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এভাবেই কথিত তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া অর্থ আত্মসাৎ, তার শ্বশুর সহিদ মিজির নামে অবৈধ ভূমি দখল, অবৈধ জাল দলিল করা, অবৈধ খতিয়ান করে নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে।

তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার শ্বশুর সহিদ মিজির অত্যাচারে ভুক্তভোগীরা হলেন মোঃ সিরাজ মিজি, মোঃ হানিফ মিজি, মোঃ আবদুল বেপারী, নূরুল আমিন ভূঞা, রবিউল ভূঞা, রাশেদা বেগম, শাহ আলম ভূঁইয়া, মোঃ নূরুল আলম ভূঞা, মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ফরিদ আহমেদ, মোঃ তারেক ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম গাজী, অহিদ দেওয়ান, আবদুর রহিম দেওয়ান, আবদুর রশিদ ভূঁইয়া, জনু ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, মুনছুর দেওয়ান, সৈয়দ আহমেদ দেওয়ান, নূরজাহান, ফয়সাল, রুমা, বাবুল বেপারী, জান্নাত, মুন্নি আক্তার, সুফিয়া, মানিকা, আঃ রহমান, শাকিল, জাহানারা, রাকিব, কবির, পারভীন, মনির হোসেন, হোসনে আরা, আমেনা, বিথি, জাহাঙ্গীর, রিনা বেগম, রানু, কাউছার, রনি, রহিম, আবদুল্লাহ, মুনছুর দেওয়ান, সৈয়দ দেওয়ান, আমল মিজি, মনির মিজি, ইমরান, হেলাল মিজি, নাঈম ভূঁইয়া, হাবিব, হাবিল, মিলন, জাবেদ, আবেদ, আবদুল্লাহ। সবার ঠিকানা হাইমচর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ আলগী।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ মাহাবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্যাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, এনটিভির জেলা প্রতিনিধ শরীফুল ইসলাম, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আল-আমিনসহ অনেকে।

সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সিরাজ মিজি, মোঃ আবদুল বেপারী, নুরুল আমিন ভূঞা, রবিউল ভূঞা, জহিরুল ইসলাম গাজী, জনু ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, বাবুল বেপারী, জাবেদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়