প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ॥ লঞ্চঘাটে ভিড় বাড়ছে
কষ্ট করে নাড়ির টানে বাড়ি এসে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে চাঁদপুরের মানুষ। পাশর্^বর্তী লক্ষ্মীপুর, শরিয়তপুর জেলা ও দক্ষিণ অঞ্চলের নৌপথের যাত্রীদের অনেকে চাঁদপুর হয়ে যাচ্ছেন কর্মস্থলে।
সরকারি ছুটি শেষে ঈদের পঞ্চম দিন ভোর থেকেই সারাদিন বাবুরহাট মাইক্রোস্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, রেলওয়ে বড় স্টেশন, কোর্ট স্টেশন ও চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। তারা কোরবানির ঈদের ছুটি কাটিয়ে ছুটছে কর্মস্থল ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে।
যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। সিডিউল মোতাবেক আধা ঘন্টা/এক ঘন্টা পর পর ছাড়ছে নির্ধারিত লঞ্চগুলো। নৌরুটে হাজার হাজার যাত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। ২১ জুন সকাল থেকেই নৌরুটে বিভিন্ন লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে রওনা করতে দেখা যায়।
এদিকে মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। বিশেষ করে লঞ্চঘাটে যাত্রীদের সেবায় খোলা হয়েছে দুটি কন্ট্রোল রুম।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর বলেন, ঢাকামুখী মানুষের স্রোত এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। আজ শনিবার থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় আরো বাড়বে। শুক্রবার হওয়ায় লঞ্চঘাটে লঞ্চযাত্রী ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। সড়কপথের চেয়ে নৌপথে যাত্রায় এখনো স্বস্তি থাকায় মানুষ লঞ্চে যেতে আরামদায়ক মনে করেন। এজন্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো নদী পথেই বেশি যাতায়াত করে।
গ্রামের বাড়িতে ঈদ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া যাত্রী মনির হোসেন জানান, ঈদের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করেছি। পথে যত দুর্ভোগ থাকুক না কেনো, সবার সঙ্গে দেখা হলে আর সেটি থাকে না। ঈদ গেছে, এখন কর্মস্থলে যেতেই হবে। আল্লাহ চাইলে আগামী ঈদের সময় আবার আসবো।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর লঞ্চঘাটের টিআই শাহ আলম জানান, পর্যাপ্ত লঞ্চ রয়েছে। যাত্রীরা নির্ভয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। অনেক সময় যাত্রী চাপ বেশি থাকায় অনেক লঞ্চে যাত্রীর পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে আমরা সার্বক্ষণিক যাত্রী নিরাপত্তায় নজরদারি করে আসছি। কোনো যাত্রী আমাদের অভিযোগ দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবো।