প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর আদালত চত্বরে কচুয়া বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে আদালত চত্বরের প্রবেশমুখে ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আদালত এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও কচুয়া উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ গত ২৮ আগস্ট কচুয়ায় যান। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা নেতৃবৃন্দ সেখানে তাদের কার্যক্রম চালাতে গেলে ওই সময় কচুয়ায় মিলনপন্থী গ্রুপ তাদেরকে বাধা দেয়। ওই সময় জেলা নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে অনেক বাধা অতিক্রম করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাজনৈতিক মামলায় চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ, কচুয়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ হাজিরা দিতে আসে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতা-কর্মীদের সাথে প্রথমে কচুয়ার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়।
মামলার কার্যক্রম শেষে প্রত্যেকে আদালত থেকে বের হলে আদালত গেটের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ ওই সময়ে কচুয়া থেকে আসা নেতা-কর্মীদের সাথে আবারও তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কমবেশি দু’পক্ষেরই অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আদালত চত্বরে দুপক্ষের হাতাহাতির ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সোলেমান ঢালী। তারা উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার আলমগীর হোসেন জানান, গত ২৮ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ কচুয়া আসেন। সেখানে কচুয়া বিএনপির লোকজন কিছু নেতা-কর্মীর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমরা ছিলাম না এবং কিছু জানি না। অথচ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বশীল নেতারা আমাদের উপর যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তার নিন্দা জানাই।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল জানান, ২৮ আগস্ট শনিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ কচুয়ায় যান। সেখানে কচুয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেশকিছু মোটরসাইকেল নিয়ে প্রোগ্রাম করতে আমাদের বাধা দেয়। পরে তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের নেতা-কর্মীরা চাঁদপুর আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যায়। সেখান কচুয়ার নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের দেখে গালমন্দ করে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা সবাইকে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে দিই।