শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০

জেলে কার্ডের চাল বিতরণ নিয়ে বিরোধ

লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ ॥ সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত ২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥
লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ ॥ সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত জাটকা রক্ষা কর্মসূচির জেলে কার্ডের চাল বিতরণ নিয়ে বিরোধ ও অনিয়মকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ জেলেরা চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এই ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান গ্রুপ ও জেলে গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার মকবুল হোসেন নামে একজন এসআই রক্তাক্ত জখম ও ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে।

৩ মে শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ও বহরিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে এ সংঘর্ষ বহরিয়া বেড়িবাঁধ সড়কের ওপর লক্ষ্মীপুর বালুখোলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লিপ্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ইটপাটকেল, কাচের বোতল নিয়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ধাওয়া শুরু করলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। এ সময় দুই দিকের যানবাহন চলাচল আটকা পড়ে। এ সময় ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। ঘন্টার পর ঘন্টা চলা এ সংঘর্ষ রাত ১১টার পর বন্ধ হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আহতদের মধ্যে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মকবুল হোসেন (৫৫) ও কনস্টেবল আপেল মাহমুদ (৪০)কে ঢাকায় রেফার করা হয়। এছাড়া বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হাবিবুর রহমান টিটু বলেন, ওই ইউনিয়নের সাড়ে ৪ হাজার কার্ডধারী জাটকা জেলের চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় নির্দিষ্ট চালের তুলনায় চাল কম হওয়ায় ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের ৪০ থেকে ৫০ জন জেলেকে চাল দেয়া সম্ভব হয়নি। এজন্যে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের নির্দেশে চাল বিতরণ বন্ধ ঘোষণা করা হলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম মনা খাঁর বাড়ি এলাকার ওয়ার্ডের জেলেরা হামলা করে। এতে তাদের অন্তত ১০ থেকে ১২জন লোক আহত হন।

এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ওই চেয়ারম্যান কিছু জেলে কার্ড আটকে রাখায় জাটকা রক্ষা কর্মসূচির জেলে চাল থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষুব্ধ হন জেলেরা। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন একত্র হলে ৭নং ওয়ার্ডসহ চাল না পাওয়া ক্ষুব্ধ জেলেদের সাথে রাতে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে চলে দেশীয় বিপুল অস্ত্রের মহড়া। এতো অস্ত্র¿ কোত্থেকে এলো তা নিয়েও প্রশ্ন সচেতন ইউনিয়নবাসীর।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, রাতে সেখানে চাল বিতরণের অনিয়ম নিয়ে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম বলেন, আমরা সেখানে হামলার ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাই। এ সময় আমাদেরকেও চারপাশ থেকে হামলা চালানো হয়। বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করি। দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটায় ও ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের একজন এসআইসহ বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে কেউ গ্রেপ্তার নেই।

এদিকে শনিবার সকালে এই সংঘর্ষের মূল কী কারণ ছিল তা জানার জন্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়। এ সময় জেলা, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের বহর সঙ্গে ছিলো। উল্লেখিত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়