প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
চাঁদা না পেয়ে ফরিদগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক পিটুনি
ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম সোহাগকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে একদল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। চাঁদা না পেয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত অবস্থায় তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে সোহাগের নিজের গার্মেন্টসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত সোহাগকে হাসপাতালে দেখতে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএস তসলিমসহ দলীয় নেতাকর্মী। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সোহাগ এই প্রতিবেদককে বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচনের জন্যে আমি না কি একজনের থেকে ৫ লাখ টাকা এনেছি। সেই টাকা এখনই বের করে দে বলে আমাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই জাহাঙ্গীর পালোয়ানের নেতৃত্বে আলমগীর হোসেন আলো, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসিরসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন সংঘবদ্ধভাবে আমার উপর হামলা চালায়। পূর্ব পরিকল্পিত এই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে জখম করে।
তিনি আরও বলেন, আমার কাপড়ের গার্মেন্টসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে এসেও অনেকে হামলার শিকার হয়েছে। এতে আমি মাথায়, পিঠে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার সঙ্গে এই নির্মম নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর পালোয়ান গংয়ের মোবাইল ফোনে কল করেও রিসিভ হয়নি। তাই তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর পালোয়ান গংয়ের ব্যাপারে জানা গেছে, এরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসেবী।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আসিবুল হাসান বলেন, সোহাগ নামের ওই রোগীকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য দ্রুত ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি নিয়েছি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, এখনো এ ধরনের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।