মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

শাহরাস্তিতে মা ও শিশু হাসপাতাল সিলগালা ॥ ১ লাখ টাকা জরিমানা

মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥
শাহরাস্তিতে মা ও শিশু হাসপাতাল সিলগালা ॥ ১ লাখ টাকা জরিমানা

শাহরাস্তি মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় হাসপাতালটিকে সিলগালা করা হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দীন, শাহরাস্তি থানার এসআই মোঃ মহসিন ভূঁইয়া, এসআই নূরুল আনোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

জানা যায়, উপজেলার মেহের কালীবাড়িতে মা ও শিশু হাসপাতালটি পরিচালনা করেন ফয়েজ আহমেদ মিলন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার। তারা ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাদের অদক্ষতা ও অবহেলাজনিত কারণে বেশ ক’জন প্রসূতি মা এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবার উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আরও জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও চিকিৎসকের অদক্ষতার কারণে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি আর্থিকভাবে প্রাথমিক ধামাচাপা দিলেও অন্য বিষয়গুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত আইন অবমাননা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে গেলে হাসপাতালের এমডি হুমকি প্রদর্শন করেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন ডাক্তার পরিচয় দেয়া ফয়েজ আহমেদ মিলন অপর এক গণমাধ্যম কর্মীকে হুমকি প্রদান করে। হাসপাতালটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট লক্ষ্য করা যায়। যা বেশির ভাগই নেতিবাচক।

মোবাইল কোর্টের তফসীলভুক্ত আইন-২০০৯-এর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯-এর ২৭ ধারা মোতাবেক ০৩/২০২৪নং মামলায় এই রায় কার্যকর করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধরী বলেন, উপজেলার সর্বত্র নিয়মিত অভিযান চলবে এবং ত্রুটিযুক্ত, অনিয়ম সম্বলিত ও অনুমোদনহীন সকল প্রকার ল্যাব, ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা, অযোগ্যতা, অদক্ষতা দিয়ে কোনো হাসপাতাল চলতে পারে না। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যায় না। এরই আওতায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে সীলগালা ও কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকা জারিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়