শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-২১

রাজাকারমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চাই

মশিউর রহমান মিটু

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
রাজাকারমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চাই

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বিএড (সিরাজ বিএড নামে পরিচিতি)-এর সন্তান মোঃ মশিউর রহমান মিটু। তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সাবেক প্রচার সম্পাদক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ, সাবেক সহ-সভাপতি, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ, সাবেক সভাপতি, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ এবং সাবেক চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য। এছাড়া তিনি ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ-সভাপতি, ত্রিদোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, পীর মুসলিম উদ্দিন এতিমখানার সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন।

মহান বিজয়ের মাসে চাঁদপুরের শীর্ষ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’তে তিনি বলেছেন নিজের কথা, বাবার কথা এবং নিজের ভাবনা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?

মশিউর রহমান মিটু : ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ত্রিদোনা ভূঁইয়া বাড়ির মরহুম মোবারক আলী ভূঁইয়ার সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক (বিএড) ভূঁইয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সেবা করেন। এছাড়া তিনি শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সর্বশেষ কালির বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে যান। তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির একাধারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেন।

রাজনীতিতে তিনি উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। সর্বশেষ তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনি খাজুরিয়া ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি হিসেবে এলাকায় সামাজিক কর্মকাণ্ড করেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?

মশিউর রহমান মিটু : একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। কোথাও গেলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকি বুক ফুলিয়ে। দেশে এখনও রাজাকার-জামাতিদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অপমান বোধ করি। আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি আছে। বাংলাদেশকে আমরা রাজাকার মুক্ত করবো, ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

মশিউর রহমান মিটু : মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে একত্রীকরণ করে রাজাকারমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চাই। আমরা পারবোই। ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়