শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেজন্যে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধূর একটি দিন। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় এই চার নেতাকে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যেমন জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ৩ নভেম্বরের খুনের সাথেও জিয়া এবং খুনিচক্র যুক্ত। এ জন্যেই বিএনপি-জামাত আন্দোলনের নামে এখন হরতাল-অবরোধ ডেকে তারা যে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাতে তারা জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রাকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

তিনি গতকাল সোমবার ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ানুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করেন।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্যে আগামী যে নির্বাচন আসছে, জনগণ তাতে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। অগ্নি সন্ত্রাসীরা যাতে মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্যে আমরা রাজপথে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সন্তোষ দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডঃ বিনয় ভুষণ মজুমদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জু মাঝি, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক দেওয়ান, শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারী, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আমেনা বেগম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সফিক গাজী, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন লিটন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী নাসিম প্রমুখ।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, শাহআলম খান, রাফি পাটওয়ারী, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাবেয়া, মনু বেগমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ এক দোয়া ও মোনাজতে অংশ নেন। সবশেষে সবার মাঝে তবররুক বিতরণ করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল আমিন জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবু জাফর আহম্মদ। এর আগে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়