প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
রেলওয়ের নিজ ডিভিশনের বাইরে দায়িত্ব পালনের হঠাৎ অযৌক্তিক নির্দেশ দাবি করে তা মেনে নিতে পারেনি ট্রেনের লোকো মাস্টাররা। তাই চাঁদপুরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থেকে প্রতিবাদ জানায় লোকো মাস্টাররা। অবশেষে রেল কর্তৃপক্ষ তাদের সে দাবি মেনে নেয়। তাই চাঁদপুর থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে এদিন দুই ঘন্টা বিলম্বে ছেড়ে যায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন।
বৃহস্পতিবর বেলা সাড়ে ১২টা হতে বেসরকারিভাবে টিকেটিং ব্যবস্থাপনার কাউন্টার থেকে যাত্রীরাও টিকেট কেটে ট্রেন আসার অপেক্ষার প্রহর গুণে। যাত্রীদের অনেকেই লোকো মাস্টারদের হঠাৎ করে ধর্মঘটের বিষয়টি জানতে পারেন। যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটেনি। তবে চাঁদপুর বড় স্টেশন ও কোর্ট স্টেশনে দায়িত্বরতরা ক্ষুব্ধ যাত্রীদের তীর্যক বাক্যবানে অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বেলা আড়াইটায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শেষ পর্যন্ত চারটা বিশ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে জানান চাঁদপুর বড়স্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার সোয়েবুল শিকদার। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দুটি স্টেশনে গিয়ে এ অবস্থা চলতে দেখা যায়। রেল কর্মচারীদের আকস্মিক ধর্মঘটের কারণে চাঁদপুর থেকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইনচার্জ জুবায়ের বলেন, ট্রেনের এলএম এবং এএলএমদের অফিসিয়াল অর্ডার দেয়া হয় বাইরোস্টার ১ মাস আখাড়রা গিয়ে ডিউটি করতে হবে। আর সেজন্যেই এমন অর্ডারের প্রতিবাদে এ ধর্মঘট। এ দিকে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন বন্ধ থাকায় রোজার আগের দিন চাঁদপুর রেল স্টেশনে প্রায় ৪/৫ হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মুরাদ উল্লাহ্ বাহার বলেন, প্রায় ২ ঘন্টা ট্রেন বন্ধ রাখায় স্টেশনে সাধারণ যাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। পরে আমরা ফোর্সসহ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।