প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। শহরে একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণসহ নানা পরিস্থিতির শিকার হয়েছে অনেকেই। আর এই কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকারে ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ পরিবারের সদস্যরা এমন অভিযোগ শোনা যায় প্রায়ই। সর্বশেষ ২১ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মাকেটের দোকান কর্মচারীকে সেই কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হতে হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শহরের রেলওয়ে হকার্স মাকেটের পশ্চিম পাশের মডার্ন সুজ নামে জুতার দোকান কর্মচারীরা অন্যান্য দিনের ন্যায় দোকানে বেচা-কেনায় মগ্ন ছিলেন। হঠাৎ করে কিশোর গ্যাং গ্রুপের বেশ ক’জন সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মডার্ন সুজের কর্মচারী নাজমুল (১৭)-এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাৎক্ষণিক নাজমুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনা দেখে মার্কেট ব্যবসায়ীরা হতবাক হয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের দৌড়ে ধরার চেষ্টা করে ১ জনকে আটক করে। আটক কিশোরের নাম নায়েব। তার বাসা শহরের পালপাড়ায়। এ ঘটনা তাৎক্ষণিক পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে সকল ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে ঘটনার বিচারের দাবি জানান।
এদিকে আহত নাজমুলকে মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করা হয়।
আটক নায়েবকে ব্যবসায়ীরা তাদের সমিতির অফিসে আটকে রাখে। অপরদিকে ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষণিক চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মডেল থানার এসআই শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
শত শত উৎসুক জনতা ও ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে আটক নায়েবকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে হকার্স মাকেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে আপাতত কোনো কথা বলতে রাজী হননি।