প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটি (টিএলসিসি)-এর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২০ মার্চ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর পৌর পাঠাগার হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। এ সময় তিনি বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের প্রজেক্ট শেষ হলেও যেন চলমান থাকে, আমরা পৌরসভা তা পরিচালনা করব। আমি পৌরসভার মাধ্যমে রাস্তায় লাইট দিচ্ছি, ফুটপাত দিচ্ছি। আমি এ মেয়াদকালে লেকের পাড় অঙ্গীকার মেরামত করেছি। ইতিমধ্যে পত্রিকায় দেখেছেন অঙ্গীকার-এর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তার কাজ করছি। আমরা বিশেষ কিছু রাস্তার কাজ করেছি। আমাদের প্ল্যান আছে রেলওয়ের পাশে যে রাস্তাটি আছে সেটির কাজ করবো। পৌরসভার ড্রেনেজের কাজ করছি। আমাদের পানি পাম্পগুলো নষ্ট ছিলো, তা ঠিক করা হয়েছে। নতুন পাম্প ক্রয় করা হয়েছে। আমরা রাস্তার কাজ করছি, এজন্যে প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। বিদ্য্যতের ক্ষেত্রে বৈল্পবিক পরিবর্তন এসেছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতর যে কাজ, সেগুলো আমরা করেছি।
তিনি বলেন, পৌরসভার মাধ্যমে একটা বড় প্রকল্পভুক্ত করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আশা রাখি সহসাই হয়ে যাবে। আমরা জনগণকে আশান্বিত করছি। যাতে জনগণ খুশি হয়। আমার এ মেয়াদে মোট ২৪ কোটি টাকার কাজ করেছি। আমরা পৌর কবস্থানের জন্য কাজ করছি। কবরস্থানে ভিতরে অনেক নতুন পথ তৈরি করছি, মাটি দিয়ে ভরাট করেছি। আমরা পৌরকবরস্থানে ৩৪টা সোলার লাইট দিয়েছি। আগে পৌরসভায় কোনো কলেজ ছিলনা, পৌরসভার অধীনে আমরা একটি কলেজ করেছি। আমরা যা কিছুই করেছি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কারণে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর জন্যে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।
তিনি বলেন, বাজেট আমরা সঠিক নিয়মে করেছি, শুধু আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে পারিনি। আমরা সামনের বছর থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বাজেট করব। তিন মাস পর পর প্রেস কনফারেন্স করব। যানজট নিরসনে কাজ করবো, এটা করতেই হবে। আমরা নতুন একটাও অটো লাইসেন্স দেইনি, আমরা আরো পুরাতন লাইসেন্স বাতিল করেছি। সিএনজি আমরা বাৎসরিক ইজারা দেই, এ আয়টা পৌরসভার কোষাগারে জমা হয়। মিশন রোডে ট্রান্সমিশন স্টেশন সরানো হবে। বঙ্গবন্ধু সড়ক ২ লেন করা হবে আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোন পৌর ট্যাক্স বাড়ালে পৌরসভার কোনো গণশুনানি করার নিয়ম নাই, তারপরও আমরা নাগরিকদের জানাবো। আমি মাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১৬ লাখ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। আপনারা যে পরামর্শ দিয়েছেন আমরা সে ভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।
চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার, টিএলসিসি সদস্য ডাঃ মুক্তাকির, অ্যাডঃ সাইফুদ্দিন বাবু, চাঁদপুর পৌরসভার নিবাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম ভূঁইয়া, চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদা নূর খান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল রুশদী, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, টিএলসিসি সদস্য সেলিম পাটওয়ারী, সদস্য রূপালি চম্পক, সদস্য শিল্পী ঘোষ প্রমুখ।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবুল হাসান, মোঃ নূরুল আমিন, দীলিপ কুমার দে, চাঁদপুর পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ মশিউর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা, কাউন্সিলর আয়েশা রহমান, মামুনুর রহমান দোলন, শাহিনা আক্তার, আব্দুল লতিফ গাজী, ফেরদৌসী আক্তার, খালেদা বেগম, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা চন্দ্রনাথ ঘোষ, টিএলসিসি সদস্য মোঃ অলি উল্ল্যাহ, ঝর্না, লাইসেন্স পরিদর্শক মোঃ মোশারফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কনজারভেন্সী কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান খান, মোঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী, বিলকিছ বেগম, কায়সার আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।