শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

লাগাতার নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ
মিজানুর রহমান ॥

রমজান শুরু হতে আর মাত্র এক দুইদিন বাকি। এর আগেই রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্য প্রয়োজনীয় সবপণ্যের দাম বেড়ে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজার। রমজান নির্ভর পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি ছোলায় ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। যা দুই মাস আগে ৮৫ টাকা ছিল। প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা, আগে ছিল ১৮০ টাকা। দাম বেড়েছে লিটারে ৫ টাকা। প্রতিকেজি চিনি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। যা দুই মাস আগে ছিল ১১০ টাকা। কেজি প্রতি ছোট দানার মসুর ডালে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ১৩০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুরে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। যা দুই মাস আগে ৪০০ টাকা ছিল। মুড়ি ও চিড়া কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। পেঁয়াজ ও আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে একদিনেই ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বা ৫৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত শাকসবজি থাকলেও কিছু সবজির কেজি দেড়শ’ টাকা ছুঁইছুঁই। বেড়েছে আমদানীকৃত সবধরনের ফলের দামও। ডিম, মসলা ও মাছ-মাংসসহ প্রায় সবধরনের ভোগ্য পণ্যেরই দাম বেড়েছে। চাঁদপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এক মাস আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫৫ টাকায়। এখন ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ব্রয়লার। অর্থাৎ এক মাসে দাম বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। এক মাস আগে ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগিও কিনতে হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। প্রতি ডজন ডিম এক মাস আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

এদিকে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা কেজিতে। মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ মাছের বাজারেও। এক মাসের ব্যবধানে প্রায় সব মাছেই ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২২০-২৪০, মাঝারি আকৃতির রুই ও কাতলা ৩৩০-৩৫০ এবং পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়।

করলা, পটল, ঢেঁড়স, বরবটিসহ বেশকিছু সবজির দামও এখন নাগালের বাইরে। এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকায়।

মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০, টমেটো ২০-৩০, বেগুন ৬০, শসা ৪০ এবং শিম মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

চায়না আদার দাম একদিনে বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। থাই আদা একদিনে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকায়। বার্মা আদা ১৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চায়না রসুনের কেজি ১৯০ ও দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা করে। এখনো স্থিতিশীল হয়নি চিনির বাজার।

আমদানি করা খেজুরসহ প্রায় সব ফলের দামও বেড়েছে। মানভেদে ১৮০ টাকা হতে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খেজুর। আপেল প্রতি কেজি ২৮০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালিম ৩০০-৪০০, মাল্টা ২০০-২২০, কমলা ২১০-২৩০ ও আঙুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩৫০ টাকায়।

এদিকে অধিকাংশ পাইকারি পণ্য বিক্রির দোকানে অদ্যকার বাজার দর মূল্য তালিকায় সঠিকটা তুলে ধরছে না।

ক্রেতা সাধারণ জানান, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবার নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন তারা। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়ে। কিন্তু কমতে দেখা যায় না। আমাদের বেতন তো বাড়ছে না। এখনই অনেক মানুষ খুব কষ্টে দিনাতিপাত করে। মাসের অর্ধেক না যেতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়বে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়