প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালি আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে নিজ নিজ সংগঠন ও দপ্তরের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা, অফিসার ইনচার্জ আঃ মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ নাজমুন নাহার অনি এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। পরে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও তাসলিমুন নেছার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে হয়তবা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হতো না। টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকাই আমাদের বাঙালি জাতির জীবনের আর্শীবাদ হয়ে এসেছিলেন। যিনি জীবদ্দশায় নিজের জন্যে না ভেবে সারাটা জীবন এদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। জেল জুলুম অত্যাচার এবং পরিবার থেকে বছরের পর বছর দূরে থাকার বেদনা তিনি নিভৃতে সয়ে গেছেন। আর তাই তিনি আমাদের জাতির পিতা। হাজার বছরের ইতিহাসে তিনি শ্রেষ্ঠ। কারণ এর আগেও এদেশে অনেক গুণি লোকের জন্ম হয়েছে। কিন্তু কেউই বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বাদ দিতে পারেন নি। একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই পেরেছেন এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে। তাই আমাদের আগামী প্রজন্মকে এই মহামানবের জীবনচরিত সর্ম্পকে জানতে হবে বুঝতে হবে। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ যারা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিকে প্রত্যেককে বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে আরো বেশি করে জানতে হবে। কারাগারের রোজনমচা, অসমাপ্ত আত্মজীবনি, আমার দেখা নয়াচীন এসব বই ভালভাবে রপ্ত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম আজীবন জড়িয়ে থাকবে। তিনি তার জীবদ্দশায় এদেশের মানুষের জন্য যেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা অনস্বীকার্য। একই সাথে জাতির পিতার পরিবারও সেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন। টুঙ্গিপাড়ার সেই দূরন্ত খোকার কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে তাই আমাদের জাতির পিতা বিশ্ব দরবারে আজো সকলের কাছে সমাদৃত। তিনি শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন। তাই নিজের জন্মদিনটি সর্বদা শিশুদের কাছে কাটানোর চেষ্টা করতেন। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে জাতির পিতার জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান প্রজন্ম তথা শিশুদের মধ্যে যদি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবোধের চেতনার বীজ বপন করা যায়, তবেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ দ্রুতই বাস্তবে রূপ নিবে।
সভায় একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্যাহ আল মামুনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইসচেয়ারম্যান জিএস তছলিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ। আলোচনা শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।