প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী গ্রামে ১২ মার্চ রোববার বিকেলে স্বামী পরিত্যক্তা মাকসুদা আক্তারকে (৫০) লাথি মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার ভাবি কোহিনুর আক্তারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর পূর্বে মাকসুদার স্বামী তাকে তালাক দেয়। ওই দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি অনেক আগেই বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির সময় সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাকসুদাকে ৫০ হাজার টাকা দেয় তার স্বামী। ওই টাকা জমা রাখা হয় মাকসুদার ভাই মনির হোসেনের কাছে। কিন্তু অদ্যাবধি মনির ওই টাকা মাকসুদাকে দেননি। এ নিয়ে প্রায়ই মনির ও মাকসুদার মধ্যে বিবাদ লেগে থাকতো। মাকসুদাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন তার ভাবি কোহিনুর আক্তার।
গতকাল মনির হোসেন গরু বিক্রি করে তিন লাখ টাকা পান। সেখান থেকে পাওনা ৫০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য বলে মাকসুদা। কিন্তু মনির ওই টাকা দিতে অপারগতা জানায়। ১২ মার্চ বিকেলে পুনরায় মাকসুদা তার পাওনা ৫০ হাজার টাকা চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করেন মনির। এ নিয়ে মনির, মাকসুদা ও মনিরের স্ত্রী কোহিনুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মনিরের স্ত্রী কোহিনুর সজোরে ননদ মাকসুদার তলপেটে লাথি দেয়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মাকসুদা। খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
মতলব দক্ষিণ থানার এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে আছেন।