বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, আমরা সত্যিকারের সোনার বাংলায় উন্নত জীবনযাপন করতে চাই। আমাদের এবং আমাদের সন্তানেরা যাতে আরো উন্নত সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে। শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। সেজন্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং নৌকার কোনো বিকল্প নাই। আমরা মাঠে আছি, মাঠে থাকবো ইনশাল্লাহ। কোনো অপশক্তিকে দেশে বিশৃঙ্খলা করতে দেবো না। গতকাল ১২ মার্চ রোববার বিকেলে চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড়ে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামাত আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারে। অগ্নি সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও সাংবাদিক নির্যাতন করে। দুর্নীতি-দুঃশাসনের বাহিরে তাদের আর কি দেখাবার আছে! দেশের জন্যে তারা কি উন্নয়ন করেছে! এই অপশক্তি বাংলাদেশের মানুষকে দুর্ভোগ ছাড়া, কষ্ট ছাড়া, মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন ছাড়া আর কি দিয়েছে। চাঁদপুরের সেই চিহ্ন হচ্ছে হাঁপানিয়া গ্রাম। রাস্তার পাশের গাছ কেটে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তাদের সেই অতীত কর্মকাণ্ড আবার কোনো মুখে আন্দোলন করে আমাদের বোধগম্য হয় না। কাজেই আমরা যারা উন্নয়নের পক্ষে আছি, শান্তির জন্যে কাজ করি, এলাকার মানুষের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। আমরা দলীয় নেতা-কর্মী ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই এই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াবো।

ডাঃ দীপু মনি বলেন, বিএনপি আমলে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার ও হাওয়া ভবন করে দেশকে দুর্নীতিতে তলিয়ে দেয়ার বাহিরে আর কোনো ভালো কাজ তারা করেনি। আমরা যদি চাঁদপুরের মানুষকে বলি, চাঁদপুরের চার দিকে তাকান, যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছু শেখ হাসিনার এই সময়ে। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে তার পূর্বের একশ’ বছরেও হয় নাই। আজকে চাঁদপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান বদলে গেছে। নদী ভাঙ্গা মানুষের জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্র গুচ্ছগ্রাম হয়েছে। শহরের মানুষের জীবনমান আরো উন্নত হয়েছে। নাগরিক সুযোগ প্রাপ্তিতে আরো সহজ হয়েছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে মানুষ অনেক কাজ ঘরে বসেই করতে পারছে। সমস্ত উন্নয়ন এবং নাগরিক সুবিধা পাওয়া শেখ হাসিনার এই সময়ই হয়েছে।

তাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টারই অংশ আওয়ামী লীগের এই শান্তি সমাবেশ।

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নি সংযোগ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও বিএনপি-জামাতের বর্তমান কার্যক্রমের প্রতিবাদে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের এ শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজী ও সহ-সভাপতি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু।

চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধাগোবিন্দ গোপের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুলের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ আলম মিলন্টন, প্রচার সম্পাদক হাসান ইমাম বাদশা, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আর্শ্বাদ মিয়াজী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডঃ হুমাায়ুন কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুল মোতালেব, আতাউর রহমান পারভেজ, জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফরিদা ইলিয়াস, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিন পাটওয়ারী প্রমুখ।

পৌর আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদ মিঠু, শাহজাহান বেপারী, সঞ্জিত পোদ্দার, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিপ্রা দাস, সদর উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সাহিদা বেগম, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।