প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
মেঘনায় ইলিশ নিধন চলছেই, বসছে ভাসমান আড়ৎ
প্রশাসনের ৩৫ অভিযানে দুই লাখ মিটার জাল জব্দ
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকাসহ মাছ শিকার চলছে। চাঁদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী খালগুলো থেকে প্রতিদিনই জেলেরা নদীতে যাচ্ছে এবং মাছ শিকার করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কানুদী, বিষ্ণুপুর, লালপুর, রাজরাজেশ্বর চর, পুরাণবাজার হরিসভা, রণাগোয়াল, দোকানঘর রামদাসদী খাল, বহরিয়া, গোবিন্দিয়া রাঢ়ী বাড়ি, আখনেরহাট খালসহ অন্যান্য এলাকা দিয়ে জেলেরা মাছ ধরছে এবং নদীর পাড় ভাসমান আড়ৎ বসিয়ে বেচাকেনা চলছে।
|আরো খবর
অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণীর মৌসুমী জেলে নিষিদ্ধ সময়ে এ মাছ শিকার করে যাচ্ছেন। এতে করে তাদের অবৈধ জালে প্রতিদিন ইলিশের পোনা জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মাছ শিকারে বিরত থাকা স্থানীয় জেলেসহ সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ওই এলাকায় সবধরনের মাছ শিকার ও জাল ফেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একশ্রেণীর জেলে নিজেরা লাভবান হবার জন্য মাছ শিকার করে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নদীতে জেলা-উপজেলা টাক্সফোর্স নিয়মিত মনিটরিং চলছে। রোববার মোবাইল টিম নদীতে ছিলো। আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় জেলেরা নদীতে নামতে তেমন সাহস পাচ্ছে না। অভিযান শুরুর গত চারদিনে পঁয়ত্রিশটি অভিযান ও ১২টি মোবাইকোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে আসামি বা নৌকা ধরা পড়েনি। দুই লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।