শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

সর্জন পদ্ধতিতে চাঁদপুরে এক ফসলী জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে সবজি ও ফলমূল
মিজানুর রহমান ॥

চাঁদপুর জেলায় অনাবাদি, পতিত ও এক ফসলী জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদন করা গেলেও এখন এটি কৃষকদের আকাঙ্ক্ষার মাঝেও হতাশা সৃষ্টি করেছে। কেননা এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্যে যে পরিমাণ খরচ সে অনুযায়ী কৃষি বিভাগ বরাদ্দ দিচ্ছে না। এতে করে বেকারত্ব দূরীকরণ ও পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর এমন উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২৩ অক্টোবর রোববার জেলার মাঠপর্যায়ের সর্জন চাষীদের সাথে আলাপ করলে তারা এমনটি জানিয়েছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সর্জন পদ্ধতিতে বেশ ক’টি প্রদর্শনী শুরু হয়। যেখানে চাঁদপুরের কৃষকরা জমির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে উঁচু বেডের মধ্যে মাচা ও জাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলের গাছ আর নালার মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের মাছের চাষ শুরু করেন। এতে একই জমিতে সারাবছর একসাথে তিনটি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু এ পদ্ধতি বাস্তবায়নে চাষীদের জমিভেদে আর্থিক খরচ দেয়া হচ্ছে। যা দিয়ে বেকার যুবকরা এ পদ্ধতির চাষাবাদে নেমে অনেকেই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। তারা পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ায় এই সর্জন পদ্ধতির চাষাবাদে উৎসাহী হচ্ছেন না।

ফরিদগঞ্জের আব্দুল্লা আল নোমান বলেন, আমি একজন শিক্ষার্থী। পাশাপাশি সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছি। আমাকে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্যে কৃষি বিভাগ মাত্র ১৬ হাজার টাকা দিয়েছে। যা দিয়ে মাটি প্রস্তুত ও লেবার খরচই হয় না। এখন এ কাজে নেমে নিজের চেষ্টায় চাষাবাদ এগিয়ে নিচ্ছি।

ঘরিহানার চাষী মনিরুল ইসলাম বলেন, অনাবাদী ও পতিত জমি নিয়ে যখন দুঃশ্চিন্তায় ভুগছিলাম, তখন কৃষি বিভাগের পরামর্শে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করি। এখন এর মাধ্যমে শসা, করলা, পেঁপে ফলাচ্ছি এবং পুকুরে তেলাপিয়া ও রুই মাছ চাষ করছি। কিন্তু সরকারি অর্থ সহায়তা বাড়ানো না হলে এই সর্জন পদ্ধতি মুখ থুবড়ে পড়বে।

ফরিদগঞ্জের গোবরচিত্রা ব্লকের মাঠ কর্মকর্তা বিল্লাল হোসাইন বলেন, মূলত নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফসল ভাগ করে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। যেমন চৌরাঙ্গায় আবুল খায়ের মজুমদার সর্জন পদ্ধতিতে ধুন্দল চাষের জন্য টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু তার মানে এই না যে তিনি শুধু ধুন্দলই উৎপাদন করবেন। তিনি তার জমিতে এই পদ্ধতিতে ১২ মাসে বিভিন্ন জাতের ফসলই উৎপাদন করে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করছি আগ্রহী চাষীদের নামের তালিকা করে উপজেলা কার্যালয়ে দ্রুতই তাদের নাম পৌঁছে দিতে।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে চাঁদপুরে ৮ উপজেলায় ১শ’ ৮ জন চাষী ২৭টি সর্জনে প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে সারাবছর বিভিন্ন জাতের সবজি, ফল ও মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আমরা ধাপে ধাপে আগ্রহী কৃষকদের কৃষি উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করছি। পর্যায়ক্রমে তাদের জমি অনুপাতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়