বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:০২

লোহাগড় মঠের কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারের প্রস্থান

এমরান হোসেন লিটন ॥
লোহাগড় মঠের কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারের প্রস্থান

ফরিদগঞ্জে জমিদারদের নির্মিত সাতশ’ বছরের পুরানো লোহাগড় মঠ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিন পর এ মঠের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার চলে গেছেন। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, মঠ সংরক্ষণের পাশাপাশি ভ্রমণপ্রেমিদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, মঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তরে ঐতিহ্যবাহী জমিদার গ্রাম লোহাগড়। প্রতাপশালী জমিদার লোহা ও গড়। তাদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয় লোহাগড়। লোহাগড় গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর তীরে জমিদারবাড়ির নির্দেশিকা হিসেবে লোহা ও গড় নির্মাণ করেছিলেন এ তিনটি মঠ।

কথিত আছে লোহাগড়ে সুউচ্চ মঠটি স্বর্ণখচিত। জমিদারদের প্রতাপ ও প্রতিপক্তির নিদর্শনস্বরূপ মঠের চূড়ায় স্বর্ণ দিয়ে অলংকৃত করা হয়েছিল। জমিদার প্রথা বিলুপ্তির পর ওই স্বর্ণ লোভে অনেকে মঠের চূড়ায় উঠতে গিয়ে আহত হয়েছেন। স্বর্ণ পরবর্তীকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদীতে পড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। অথবা রাতের আঁধারে দুষ্টুচক্রের বেশি মানুষরা নিয়ে গেছে।

জমিদারদের নির্মিত মঠ মনে করিয়ে দেয় জমিদার লোহা ও গড়ের কথা। ঐতিহ্যবাহী জমিদার এবং তাদের নির্মিত দর্শনীয় মঠগুলো দেখতে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণপ্রেমি ভিড় জমায়। এলাকাবাসীর দাবি, মঠের সংরক্ষণের পাশাপাশি ভ্রমণপ্রেমিদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।

এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং টেলিভিশনে লোহাগড় মঠের ঐতিহ্য এবং সংস্কারের কথা জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে মঠগুলো সংস্কারের জন্য বাজেট মঞ্জুর করেন। কিন্তু একটি মঠ সংস্কার করা হলেও বাকি দুটি মঠ কাজ না করেই গত ৫ আগস্টের দু-একদিন পর মঠে কাজ করা শ্রমিকরা সব এখান থেকে চলে যায়।

এ সময় আগন্তুক কয়েকজন ভ্রমণপিপাসুর সাথে কথা হলে তারা জানান, বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে এ মঠের ঐতিহ্য এবং ইতিহাস জেনে আমরা এসেছি। দেখতে ভালোই লাগলো, কিন্তু একেবারেই নির্জন এলাকা এবং এখানে কোনোরকম শৌচাগার ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আশপাশের পরিবেশ নোংরা থাকার কারণে এবং সিকিউরিটি না থাকায় নিজেকে একেবারেই নিরাপত্তাহীন মনে করছি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, লোহাগড় মঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়