বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৭

ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজীর উপর হামলা

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজীর উপর হামলা

ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন। দলীয় একটি পক্ষ এই হামলা করেছে বলে জানা গেছে। এর আগে তাকে ধাওয়া দেয়া হয় এবং ফরিদগঞ্জ সদর বাজারে কটাক্ষ করে তার বিরুদ্ধে মিছিল করা হয়। আমানত গাজীর ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন। আমানত গাজী বলেছেন, হামলাকারীরা আমাদের দলের ভেতর আওয়ামী লীগের এজেন্ট। অপরদিকে অভিযুক্তরা বলেছেন, ৫ আগস্টের পর হতে আমানত হোসেন গাজী আর্থিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিরাপদে থাকতে সহযোগিতা, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা অপকর্ম করছেন। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ১১ নভেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ৯টায় আমানত গাজী বাজারে হাঁটছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে কিল-ঘুষি মারে। আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর তিনি চলে যান। এর পূর্বে ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে আমানাত হেসেন গাজীকে ধাওয়া দেয়া হয়। তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। ধাওয়াকারীদের অভিযোগ, আমানত গাজী আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছেন। ২৪ অক্টোবর আমানত গাজীর নাম তুলে লাঠিসোটা হাতে ফরিদগঞ্জ বাজারে মিছিল করা হয়। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বাজারের কেরোয়া মোড়ে হামলা ও মারধরের শিকার হন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমানত গাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিস দখল, চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের আমানত গাজী বলেন, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলো। এখন বিএনপি সেজেছে। তিনি বলেন, বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নানের নির্দেশে আমি চেয়ারম্যানদের নিরাপদে যেতে সাহায্য করেছি। তার ওপর হামলার জন্যে মোশারফ হোসেন ও রাশেদকে তিনি দায়ী করেন। অপরদিকে মুঠোফোনে কথা হয় রাশেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমানত গাজীর ওপর হামলা কে করেছে আমি জানি না। আমরা ডাক-চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখেছি। তিনি দাবি করে বলেন, ২২ অক্টোবর ইউএনও অফিসে মোশারফের ওপর হামলা করেছে আমানত গাজী। এদিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বলেছেন, বিএনপি থেকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আছে, কারো ওপর হামলা, মারধর, চাঁদাবাজি করা যাবে না। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের আহ্বানে সভায় গিয়েছেন। সেখানে তাদের ওপর হামলা চেষ্টার খবর শুনে আমি আমানতকে বলেছি চেয়ারম্যানদের নিরাপত্তা দিতে। তিনি আরো বলেন, ওই হামলাকারীরা বিএনপির কেউ নয়। এদিকে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার বলেছেন, এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি, হামলার খবরও জানি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়