প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৮
নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হওয়ার এক বছর না যেতেই মসজিদটিতে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে মসজিদ নির্মাণ করায় বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি চুয়ে চুয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে। ফলে তৎকালীন সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন চত্বরে প্রায় ৪৩ শতক জমির ওপরে নির্মিত হয়েছে তৃতীয় তলা বিশিষ্ট এই মসজিদ। এটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে গণপূর্ত বিভাগের আওতায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি নকশা অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত করে প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করে। ১৬ মার্চ ২০২৩-এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই মসজিদটির তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলায় পেছনের দেয়াল চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে এবং মসজিদের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালের চুনা খসে পড়ছে এবং আস্তর উঠে গেছে। একাধিক বাথরুমের ফিটিংস ফেটে পানি বের হচ্ছে। আবার কয়েকটা বাথরুমের পানি সরে না। অল্প বৃষ্টি হলে দোতলায় পানি উঠে, নামাজ পড়া যায় না। মসজিদের মিনার ও গম্বুজের লাইট লাগানো হয়নি। বিভিন্ন অংশে কিছু লাইট লাগানো হলেও ৬ মাসের পর থেকে আর জ্বলে না। এমনকি ৬ মাসের সার্ভিস বা মেরামতের কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
অন্যদিকে মসজিদটিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় পুরো মসজিদটিতে বিদ্যুৎ ওয়্যারিংয়ের প্রচুর সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে বিদ্যুতের সুইচ দিলেই স্পার্কিং শুরু হয়ে যায়। এছাড়াও নিম্নমানের লাইটিংয়ের কারণে বেশিরভাগ বাল্ব নিয়মিতভাবে জ্বলে না। আবার ছাদে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ছাদের ওপরে পানি জমে থাকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজ এন্ড ব্রাদার্সের আজিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সমস্যাগুলো আমরা জানতে পেরেছি। কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করে দেয়া হবে।
গণপূর্ত বিভাগ, চাঁদপুর-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আহমেদকে গত ৩ দিন ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মসজিদের সমস্যাগুলো ই-মেইল করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি আমি মাত্র শুনেছি। কিছুদিন হলো যোগদান করেছি। দ্রুত মসজিদটি ভিজিট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।