শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৯

মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, থানায় মামলা, প্রধান আসামি নিয়ে ধুম্রজাল

নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, থানায় মামলা, প্রধান আসামি নিয়ে ধুম্রজাল

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৬জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। অপরদিকে, মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম তোতার স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, তার বাবার হত্যা মামলাকে ধামাচাপা দিতে তাকে রাজনৈতিক শক্রতার জের ধরে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে, গত সোমবার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এই ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামের হানিফ চৌকিদারের ছেলে মো.হারুন (৪০) ও একই গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো.হাসান (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারী(৩৫)-এর স্বামী চট্টগ্রামে গাড়ি চালান। উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক দুর্গম চরে ওই নারী তার এক ডির্ভোসী মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার এক দূর সম্পর্কের দেবর প্রায় তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ৬ যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢুকেন। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ওই নারীর দূর সম্পর্কের দেবর (২১)কে বেঁধে তাকে ও তার মেয়েকে (২০) ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে আরও বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় । অন্যরা তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকেরা তাদের ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম তোতা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আমি জড়িত নই। গত কিছু দিন আগে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমার বাবা আব্দুল মতিন তোতাকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনার পর থেকে রাজ্জাক বাহিনী আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিত নারী রাজ্জাক চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয়। মূলত আমার বাবার হত্যা মামলাকে চাপা দিতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিহিংসামূলক আমার নাম জড়িয়ে দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। একই সাথে আমি অপরাধী হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মাথা পেতে নেবো।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নির্যাতিতদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়