প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২০
ঢাকা-চাঁদপুর দূরপাল্লার সাঁতার আমার জীবনের সেরা স্মৃতি : রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল

চাঁদপুরের খ্যাতিমান সাঁতারুদের অন্যতম মো. রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের সুপরিচিত ও স্বনামধন্য কর্মচারী আলী আহমেদ ভূঁইয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান। একসময় চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে ব্যবসা পরিচালনা করলেও এবং তরপুরচণ্ডীর গ্রামের বাড়িতে বসবাস করলেও বর্তমানে সন্তানদের লেখাপড়ার প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। শারীরিক নানা জটিলতাতে ভোগার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনেও তাঁকে থাকতে হচ্ছে ঢাকায়। তিনি চাঁদপুর ও ঢাকার মধ্যে সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের ১৮-১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দূরপাল্লার সাঁতারে অংশগ্রহণকারী তিন কৃতী সাঁতারুর অন্যতম। ইতোমধ্যে ক্রীড়াকণ্ঠে দূরপাল্লার সাঁতারে অংশগ্রহণকারী একেএম বাদশা মিয়া ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্লাহ খানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাক্ষিক আয়োজন ‘ক্রীড়াকণ্ঠে’। আজ এ দুজনের সাঁতারসঙ্গী রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুলের গৃহীত সাক্ষাৎকারটি পত্রস্থ করা হলো---
ক্রীড়াকণ্ঠ : কেমন আছেন, কী করছেন? এখন কোথায় থাকেন?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বর্তমানে অবসর। ঢাকায় বসবাস করি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কতো বছর বয়সে সাঁতার শিখেন এবং সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন? সাঁতারে আপনার উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব কী কী?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : ১০ বছর বয়সে সাঁতার শিখি। সাঁতারের উল্লেখ্যযোগ্য কৃতিত্ব হচ্ছে কলেজ হোস্টেল দিঘি, চাঁদপুর লেক ও ফারাক্কাবাদ দিঘিতে দিনব্যাপী অবিরাম সাঁতার।
ক্রীড়াকণ্ঠ : সাঁতারে আপনার অনুপ্রেরণা কে? ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী সাঁতারু আ. মালেক কি আপনার আত্মীয়, না নিতান্তই এলাকার কৃতী সন্তান? তাঁকে কি আপনি নিজ চোখে দেখেছেন বা তাঁর সাথে আপনার সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : সাঁতারু আব্দুল মালেক আমার ফুফাতো ভাই। তিনি চাঁদপুর ও আমাদের নিজ এলাকার কৃতী সন্তান। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ দেখেছি। তাঁর সাথে জীবিত সাক্ষাৎ হয়নি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : সাঁতারের অনেক ইভেন্ট থাকা সত্ত্বেও আপনি অবিরাম সাঁতারু ও দূরপাল্লার সাঁতারু হতে গেলেন কেন?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : খ্যাতিমান সাঁতারু মালেক ভাই, বাদশা ভাই, ছানাউল্লাহ ভাই, অরুন কুমার নন্দী সবাই দূর পাল্লার সাঁতার কেটেছে, সেজন্যে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ১৯৯৯ সালের ১৮-১৯ নভেম্বর ঢাকা-চাঁদপুর দূরপাল্লার সাঁতার কি আপনার জীবনের সেরা স্মৃতি? তখন আপনার বয়স কতো ছিলো?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : ঢাকা-চাঁদপুর দূরপাল্লার সাঁতার আমার জীবনের সেরা স্মৃতি। তখন আমার বয়স ছিলো ৩৮ বছর।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনার সন্তান বা আত্মীয়স্বজনদের কাউকে কি সাঁতারে উদ্বুদ্ধ করেছেন? না কোনো কষ্টের কারণে সাঁতারকে নিজের জীবন থেকে বিদায় জানিয়েছেন এবং অন্যকেও শিখাতে চান নি?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : না, প্রয়োজন অনুভব করি নি শারীরিক ও মানসিক কারণে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : সাঁতারে চাঁদপুরের গৌরব ও ঐতিহ্য আগের মতো নেই। সেটা কেন?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : সাঁতারে চাঁদপুরের ধারাবাহিকতা অনেক বছর যাবৎ অনুপস্থিত। তাই ঐতিহ্য আছে, কি নেই তা আমার জানা নেই।
ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুরের সাঁতারকে আগের অবস্থানে নিয়ে আসতে হলে কী কী করা দরকার বলে আপনি মনে করেন?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ক্রীড়াবিদের সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনার সাথে সাঁতার কেটেছে, কৃতিত্ব দেখিয়েছে--এমন কার কার কথা মনে পড়ে? তাদের সাথে যোগাযোগ আছে কি?
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : বাদশা ভাই, ছানাউল্লাহ ভাই। তাদের সাথে সময় পেলে যোগাযোগ করি।
ক্রীড়া কণ্ঠ : আপনার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েরা কে কী করছেন? (তাদের নামসহ উল্লেখ করুন)
রোকনুদ্দিন ভূঁইয়া বাবুল : স্ত্রী গৃহিণী, ছেলে নাজিম উদ্দিন ভূইয়া অধ্যয়নরত, মাস্টার্স জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। মেয়ে রোকসানা আক্তার ঢাকার সাফেনা মহিলা মেডিকেল কলেজে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত।
আজকের এই সাক্ষাৎকার প্রদানকালে ঢাকা-চাঁদপুর দূরপাল্লার সাঁতার আয়োজনে যাঁদের সহযোগিতায় সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এঁরা হচ্ছেন : জনাব এস. এ. সুলতান টিটু ( সাবেক এমপি), অ্যাড. ইকবাল-বিন- বাশার ও কাজী শাহাদাত (চাঁদপুর কণ্ঠ), আনিছুর রহমান, জনাব মজিবুর রহমান (ব্যাংকার), জনাব খলিলুর রহমান গাজী (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান), মজিবুর রহমান ফরহাদ, অ্যাড. সেলিম আকবর, সাংবাদিক রোকনুজ্জামান, সাংবাদিক আলম পলাশ, সাঁতারু আবুল কাশেম সায়মন, প্রয়াত সফিউল্লা সাহেব (সাবেক এমপি), প্রয়াত মোস্তাক হায়দার চৌধুরী ও প্রয়াত দেওয়ান আরশাদ আলী।