প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ১৭:০১
অনলাইনে অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলো চাঁদপুর
স্কুল ভিত্তিক দলগত দাবা প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন
![স্কুল ভিত্তিক দলগত দাবা প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন](/assets/news_photos/2022/07/05/image-20375-1657019277bdjournal.jpg)
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘হয়ে ওঠো আগামীর গ্র্যান্ডমাস্টার’ শিরোনামে (৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে শুভ উদ্বোধন হয়েছে স্কুল ভিত্তিক দলগত দাবা প্রতিযোগিতা ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’।
|আরো খবর
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে এবং আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশব্যাপী এ স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, আবুল খায়ের গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ, এশিয়ান জোন ৩.১ এর সভাপতি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাহাব উদ্দিন শামিম, বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ড. শোয়েব রিয়াজ আলম এবং স্কুল কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদা হক চৌধুরী মলি। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ও দক্ষিণ এশিয় চেস কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
চাঁদপুরসহ দেশের সকল জেলার পুলিশ সুপার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাবাকে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি করার লক্ষ্যে স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাবা খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই, গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরি করতে চাই। আইজিপি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, আজ একটি বিশেষ দিন। আশির দশকে স্কুল দাবা হয়েছে। ২০১৩ সালের পর থেকে স্কুল দাবা নিয়ে তেমন কোন কাজ হয়নি। আজ নতুন করে গোড়া পত্তন হলো স্কুল দাবার। এর ফলে দাবার ভিত্তি সুসংহত হবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দাবার পরাশক্তি হতে চাই। দাবা খেলাকে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। বর্তমানে স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় চারশ স্কুল এবং দুই হাজার দাবাড়ু অংশগ্রহণ করেছে। যত দিন যাবে স্কুলের সংখ্যা ও দাবাড়ুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। দাবা ফেডারেশনকে ‘ন্যাশনাল চেস সেন্টারে’ পরিণত করার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, এটা করতে পারলে সারা বছর দাবাড়ুরা এখানে খেলতে পারবে। তিনি এ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দুইজন ছেলে এবং দুইজন মেয়েকে তিন মাসের প্রশিক্ষণে স্পেন পাঠানোর ঘোষণা দেন। আইজিপি খেলোয়াড়দের সাফল্য কামনা করেন এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ধন্যবাদ জানান।উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম(বার)। অনুষ্ঠান শেষে পুলিশ সুপার দাবা খেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জানান- খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকি। দাবা খেলা একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত খেলা, এইখানে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। দাবা খেলা আমাদের মানসিক ভারসাম্য শক্তিকে বৃদ্ধি করে। করোনা মহামারীর এই প্যানডামিক সিচুয়েশনে ইনডোর গেমইস হিসেবে দাবা খেলা খুবই জনপ্রিয়। আমাদের সকলকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।
স্থানীয় পর্যায়ে দাবা খেলার সম্প্রসারণ এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে দাবা খেলায় আগ্রহ বৃদ্ধি করতে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, চাঁদপুর সম্মেলন কক্ষে দাবার উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের দাবা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয় এবং দাবার খুটিনাটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়।
এসময় চাঁদপুর পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু সহ জেলার দাবা খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট স্কুল ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।