রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ২১:১৬

কচুয়া পৌর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মীসভা

শহীদ জিয়ার আদর্শে যারা বিশ্বাস করে তাদের মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নেই ---------ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
শহীদ জিয়ার আদর্শে যারা বিশ্বাস করে তাদের মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নেই ---------ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে যারা বিশ্বাস করে, তাদের মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নেই। কচুয়ার এই সরকারি কলেজ মাঠেই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৫ বার এসেছেন। ১৯৯৬ সালে কচুয়াবাসীর চাওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি আমাকে ধানের শীষের প্রতীক হাতে তুলে দেন। ১৯৯৫ সাল থেকে কচুয়ার জনগণ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালেবাসার প্রমাণস্বরূপ ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে সংসদে পাঠিয়েছেন। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আমাকে পরাজিত করা হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ২১ সদস্যের কমিটি দিয়ে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তন্মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমান আমার নাম নিজের হাতে লিখেছিলেন। ২০০১ সালে আমাদের নেতা আগামীর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বিসর্জন দিয়ে আপনাদের সেবা করার জন্যে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি তাঁকে এই কচুয়া আসন উপহার দিয়েছিলাম। তার বিনিময়ে তিনি আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরে এই কচুয়ার বিএনপিকে আমি প্রতিষ্ঠিত করেছি। কচুয়ার মাটি ধার্মিকের ঘাঁটি, ইসলামের ঘাঁটি। এখন নতুন করে বেঈমানের ঘাঁটি হয়েছে। যাদের আমি প্রতিষ্ঠিত করেছি, চেয়ারে বসিয়েছি, তারাই এখন বেঈমানের খাতায় নাম লিখিয়েছে। চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট চাঁদপুরের পরিবর্তে আমি কচুয়ায় স্থাপন করেছি। তার কারণ, সারাদেশে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নেতৃত্বে দেবে কচুয়ার ছেলেরা। ১৯৯৬ সালের পর আমার বিরুদ্ধে ১৪৯টি মামলা দিয়েছে মখা আলমগীর। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি একটি মামলাও করিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করাই হবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রথম ধাপ। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া মৃত্যুর মুখে থেকেও আপস করেননি। শহীদ জিয়ার আদর্শে যারা বিশ্বাস করে, তাদের মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নেই।

শনিবার (২৮ জুন ২০২৫) বিকেলে কচুয়া সরকারি কলেজ মাঠে কচুয়া পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহছানুল হক মিলন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন মজুমদার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন সেলিম পাটওয়ারী ও বিএনপি নেতা মোস্তফা গাজী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক শাহজালাল প্রধান জালাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. খায়রুল আবেদীন স্বপন, সহ-সভাপতি বিএনপি নেতা শরফুদ্দিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ এলাহী সুবাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারফিন হোসাইন, মাহবুব আলম, ইউসুফ মিয়াজী, কচুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এ.বি.এম. জসিম ইউ মাহমুদ বকাউল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর বাজার কমিটির সভাপতি ও বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, কড়ইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজু, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন আবেগ, সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মো. রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম আতিক, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন নবী সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ হোসেন শরিফ, সাধারণ সম্পাদক মহসিন , সাংগঠনিক সম্পাদক মহিন উদ্দিন, পৌর যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরহাদ প্রমুখ। সভায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়