প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৬
শনিবার কর্মী সম্মেলন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর শাহরাস্তিতে প্রকাশ্যে জামায়াতের সাংগঠনিক কর্মসূচি
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন। শনিবার (১১ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই কর্মী সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
কর্মী সম্মেলন সফল করতে শাহরাস্তিজুড়ে বেশ কিছুদিন যাবত সাংগঠনিক তৎপরতা, ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং গণসংযোগ ছিলো বেশ জোরালো। ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ২০২৫) বিকেলে মিছিল করেন উপজেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সে জন্যে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে শাহরাস্তিতে জামায়াতে ইসলামীকে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে ঝটিকা মিছিল করতে দেখা গেলেও পুলিশের হয়রানির মুখে পড়তে হয় তাদের। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সোচ্চার হয় জামায়াতে ইসলামী। আজকের কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে বিশাল আয়োজন শুধু দলকেই চাঙ্গা করবে না, এর মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগাম বার্তা জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়া হবে বলে অনেকেই মনে করেন।
শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোস্তফা কামাল বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নেয়ার পর আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালন করতে পারছি। সে জন্যে মহান আল্লাহর নিকট শোকরিয়া আদায় করছি। প্রকৃতপক্ষে জামায়াতে ইসলামী কী চায় জনগণের মাঝে তা তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি।
চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হোসাইন বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানিতে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে সমাবেশ করার সুযোগ পেয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আমাদেরকে নিষ্পেষিত করার চেষ্টা করেছে। একটি ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্যে এবং আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকের সম্মেলনে সকল জনগণের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে জামায়াত নেতৃবৃন্দ।