প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৭
পুলিশের ব্যাপক অভিযান, থমথমে পরিস্থিতি :আটক ১
শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগ কর্মীর মহড়ায় আতংকিত হয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের আয়নাতলী বাজারে আওয়ামী লীগ কর্মীর অস্ত্রের মহড়ায় আতংকিত হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উক্ত ঘটনায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৪) রাতজুড়ে আতংক বিরাজ করে উপজেলার মানুষের মধ্যে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১১ ডিসেম্বর আয়নাতলী বাজারে হাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা ও জামরুলের মধ্যে মাছ বিক্রির ২০ টাকা নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বৈঠক করে উক্ত সমস্যার সমাধান করা হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফার সমর্থনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাদাত হোসেন উক্ত সমাধানের বিরোধিতা করে দলীয় কর্মীদের নিয়ে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে সাহাদাতের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শান্ত পৌর এলাকা থেকে তার কর্মী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহকারে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে। উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নেতা এসএম ফিরোজ সংঘর্ষ এড়াতে এগিয়ে আসলে তিনি রাস্তার উপর পড়ে যান। এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান জানান, উক্ত ঘটনার সময় আমি আঘাত প্রাপ্ত হই। বিএনপির নেতা আজিজ মেছের জানান, তিনি ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পড়ে যান। তারা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাদাত এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি।
সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাতভর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়েছে। বিএনপি নেতা এমএম ফিরোজের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে।
শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি মো. আবুল বাশার জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার স্থান হতে দেশীয় লাঠি ও পাইপ উদ্ধার করা করা হয়েছে।