প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪৬
রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আমার এ নির্বাচনী মাঠে আসা
-----------অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান
আসন্ন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুরের-৪ ফরিদগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামী লীগের তথা নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান এলাকায় গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। ১২ নভেম্বর রোববার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারসহ আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গণসংযোগ করেন।
|আরো খবর
গণসংযোগকালে অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, জবাবদিহিতামূলক সংসদীয় এলাকা হিসেবে বাংলাদেশে রোল মডেল হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে গড়ে তুলতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ তথা রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আমার এ নির্বাচনী মাঠে আসা। আমি মনে করি একটি দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব ও তার ধারাবাহিকতা। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে দেশী-বিদেশি স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও প্রত্যক্ষ মদদে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২১ বছরের সামরিক শাসক ও তাদের দোসররা এই দেশে গণতন্ত্র হত্যা ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও ৫ বছরে জমে থাকা সমস্থ জঞ্জাল সরানো সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কাজ শুরু হলেও শেষ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন আবারও হোঁচট খায়। ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বদলে যেতে থাকে বাংলাদেশ। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একটি অনুন্নত দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে, পরিণত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু ও কালনা সেতু আজ কোনো স্বপ্ন নয়, বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সবমিলিয়ে এক আধুনিক বাংলাদেশ। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে আজ যেমন সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষিত মেধাবী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল পাটওয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালি মোল্লা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তসলিম আহমেদ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সবুজ, আকবর হোসেন মনির, আওয়ামী লীগ নেতা নুরের রহমান সুমন পাটওয়ারী, সুমন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সুমন খান, এমরান হোসেন আমিন, গৃদকালিন্দিয়া বাজার কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকি বিল্লাহ সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্তসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।