প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ২০:২২
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার
--------------পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম
বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে টিকে থাকতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তবে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন এবং সরকার সেই কাজই করে যাচ্ছে। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অভিভাবক সমাবেশ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
|আরো খবর
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমুন্নাহারের সভাপতিত্বে এবং স্কুলের সহকারী শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও নারায়ণপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মজুমদারের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেনু দাস ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুবিন সুজন।
বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক বিন জামান, এমএ আজিজ বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, নারায়ণপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান মজুমদার, নায়েরগাঁও উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা, নারায়ণপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জমির হোসেন পাটোয়ারী, মতলব পৌর কাউন্সিলর পারভেজ মিয়াজী, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক পাটোয়ারী, নারায়ণপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ওচমান গনি পাটোয়ারী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম, অভিভাবক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মামুন মিয়া, নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাফ হোসেন। এ সময় নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিভাবক শিক্ষার্থী এবং নারায়ণপুর পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, জনগণ সঙ্গে না থাকায় বিএনপির আন্দোলনের পালে কোনদিন হাওয়া লাগেনি, নির্বাচনের আগে কতটুকু লাগবে তা বুঝাই যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মাধ্যমে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুমসহ আধুনিকায়নের সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে; যা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।