শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৩৪

ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের নবান্ন উৎসবে বক্তারা

‘নবান্ন আমাদের শেকড়ে নিয়ে যায়’

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
‘নবান্ন আমাদের শেকড়ে নিয়ে যায়’

একটি দিনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার শতবছরের ঐতিহ্যে। ধান কাটা, পিঠা- পায়েস, হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মগ্ন ছিলো ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সদস্য ও স্থানীয়রা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হলো ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের ‘নবান্ন উৎসব- ১৪২৯’।

১০ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভাটিয়ালপুর এলাকায় কৃষকের মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নূরুল ইসলাম ফরহাদ’র সভাপতিত্বে, নবান্ন উৎসবের আহবায়ক ও নির্বাহী কমিটির অর্থ সম্পাদক তারেকুর রহমান তারুর মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর থেকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সমাজ সেবক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ ভ‚ঁইয়া বলেন,‘কৃষি প্রধান এ দেশে আবহমান কাল ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে লোকজ উৎসব ‘নবান্ন’। অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকের ঘরে তোলা হয় নতুন ধান, সেই আনন্দে নতুন ধানের তৈরি পিঠা ও অনান্য লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই উৎসবটি উদযাপিত হয়ে আসছে। নবান্ন উৎসব আমাদেরকে শেকড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। নগরায়নের কারণে আমরা সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত। ছোটদের গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু খেলা দেখে আমি আমার শৈশবে চলে গেছি। আহ্ কী মধুর সময় ছিলো ঐ দিন গুলো। খুব মিস করি। আমি হা-ডু-ডু খেলা হায়ারে খেলতে যেতমা। এই নয়াহাটেও আমাকে নিয়ে আসতো। খেলাটি খুব ভালো পারতাম আমি। লেখক ফোরামকে ধন্যবাদ আমাকে সুখ স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সংগঠনটি এরকম আরো আয়োজন করুক, আমি তাদের সাথে আছি।’

ধান কাটার পর গ্রাম বাংলার হারানো খেলাগুলো একের পর পর এক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে- গোল্লা ছুট, হা-ডু-ডু, চেয়ার বদল, সাতচাঁড়া। ‘আমার মাইজা ভাই সাইজা ভাই কই গেলা-রে’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন লিখক সরকার ও রুপা সরকার। গান এবং নৃত্যের পর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগীতা। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোস্তফা কামাল মুকুল। অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি কে এম নজরুল ইসলাম, ফাতেমা আক্তার শিল্পী, সাবেক সভাপতি মহসিন হাসান শুভ্র, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো.সাহেদ, কবি পাভেল আল ইমরান, সমাজকর্মী রাবেয়া আক্তার, নবান্ন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মেহেরাজ হাসান সৌরাভ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়