শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৩৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী বর্ণাঢ্য ও নিঃস্বার্থ একজন আপাদমস্তক রাজনীতিক ছিলেন। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। এমনকি তিনি বঙ্গবন্ধু'র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জন ছিলেন।

তিনি ছিলেন আমাদের জাতীয় নেতা এবং জাতীয় সম্পদ। তিনি একজন ব্যক্তিই নন, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি ইনস্টিটিট। যে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখাার আছে। আমরা জানি রাজনীতি হল সমাজের সর্বোচ্চ সমাজসেবা। সেই সেবার কাজটি মিজানুর রহমান চৌধুরী করে গেছেন। চাঁদপুরবাসী তথা জাতির স্বার্থে তার স্মৃতিকে আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।

২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাদ আছর চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদে মিজানুর রহমান চৌধুরীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যে সমাজে ভালো কাজের কদর নেই সেই সমাজে ভালো কাজ হয় না। মিজানুর রহমান চৌধুরী অত্যন্ত নিরব সজ্জন সদালাপী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গরীব সাধারন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তার স্মৃতিকে সংরক্ষণে একটি ফাউন্ডেশন করা যায় কিনা এ বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা রয়েছে।

তিনি মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী সাজেদা মিজান, বড় ছেলে দিপু চৌধুরী ও মেয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মিজান চৌধুরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

মিজানুর রহমান চৌধুরী স্মৃতিচারণা করে চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী বলেন,মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিকল্প তিনি নিজে। দেশ ও দলের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে একজন কান্ডারির ভূমিকায় আবির্ভূত হতেন তিনি। মানুষের কল্যাণ কীভাবে করতে হয়, তা তিনি শিখিয়েছেন।’মিজান চৌধুরীকে একজন খান্দানি রাজনীতিক অভিহিত করে ওসমান হাজী আরো বলেন, ‘তাঁর বাড়ি ছিল কর্মীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র। তিনি কর্মীদের খুব ভালোবাসতেন। তাঁর রাজনৈতিক দৃঢ়তা এখনো আমাদের অবাক করে। তাকে নিয়ে আমরা চাঁদপুরবাসী গর্বিত ছিলাম।

তিনি মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার সহধর্মিনী ও প্রয়াত ছেলে মেয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর মেজো ছেলে ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান রাজু চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী ভাগিনা ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া প্রমুখ।

মরহুমের মেজো ছেলে আমানুল্লাহ মিজান রাজু চৌধুরী জানান তার পিতার নামে পারিবারিকভাবে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তারা করেছেন। সেখানে যারা মিজান চৌধুরী কে ভালোবাসেন তারা সম্পৃক্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

আলোচনা শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মিজান চৌধুরী বাড়ির বাইতুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোদাচ্ছের আলী।

দোয়া অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহ কোম্পানি,মরহুম বাচ্চু মিয়াজীর ছেলে মোঃ জামিনুল হক বিপুল, সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজ বেপারী,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জু মাঝি,জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, চাঁদপুর চেম্বারের সাবেক পরিচালক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী সেলিম মিজি,ফরিদ দিদার,মাহবুবুর রহমান মানিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বিপ্লব, হারুনুর রশিদ বেপারী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ শরিফ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হাসিবুল হাসান মুন্না,আবু পাটোয়ারিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মরহুমের আত্মীয়-স্বজন এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া অনুষ্ঠান শেষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়