শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ০০:০০

করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরাও
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক মৃত্যু এবং গড়ে এক হাজার করে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। এমন পরিস্থিতি আতঙ্কদায়ক হলেও জনমনে এর বিরূপ প্রভাব আছে বলে মনে হচ্ছে না। ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে দেখবো এবার জগৎটাকে’ মানসিকতায় মানুষ প্রয়োজন ছাড়াও বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে। ঘরের বাইরে সামাজিক দূরত্ব বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরের কথা, অধিকাংশ লোক ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে মাস্ক পর্যন্ত পরছে না। ফ্রি স্টাইল মানসিকতায় চলছে এসব মানুষ। কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনসহ কোনো কিছুতেই এমন মানুষকে দমানো যাচ্ছে না। মারাত্মক বেপরোয়া এদের প্রায় সকলে। মসজিদে ইমামণ্ডমুসল্লির ৯৯ ভাগই মাস্ক পরছে না, আর নামকাওয়াস্তে সামান্য ফাঁক রেখে কাতারগুলোতে দাঁড়াচ্ছে। বাজারে ক্রেতাদের অনেকে মাস্ক পরলেও বিক্রেতাদের প্রায় নব্বই ভাগ মাস্ক পরছে না। শহুরে পরিবেশে ছোট ছোট যানবাহনে চালক ও যাত্রীকে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও গ্রামীণ পরিবেশে এর বালাই নেই।

ডেম কেয়ার বা বেপরোয়া মনোভাবাপন্ন মানুষকে শায়েস্তা করতে বার বার মাঠে নামছে পুলিশ এবং জেলা/উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কাক্সিক্ষতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আইন প্রয়োগ দ্বারাও কাজ হচ্ছে না। এমতাবস্থায় রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার বিকল্প আছে বলে মনে হচ্ছে না। অভিজ্ঞজনরা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রয়োজনে বাধ্যকরণে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না।

জনকল্যাণধর্মী যে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রাক জনমত সৃষ্টির আবশ্যকীয়তা অনস্বীকার্য। এই জনমত সৃষ্টিতে সরকারের আমলা ও পুলিশকেই যদি প্রধানত কাজে লাগানো হয়, তারপরও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলর ও মেয়র ব্যতীত আমলা/পুলিশ কোনো জনসমাবেশ আয়োজন করতে গেলে তাতে পরিপূর্ণ উদ্দেশ্য সাধন হয় না, বড় জোর আইওয়াশ হয়।

করোনার ভয়ঙ্কর রূপে আমাদের দেশের পরিস্থিতি যে ভারত বা অন্য কোনো দেশের মতো করুণ রূপ ধারণ করবে না সেটা চলমান পরিস্থিতিতে হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। এমতাবস্থায় করোনা প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের সাথে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিসহ জনসম্পৃক্ত সকল স্তরের গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে গড়িমসি, কোনো ব্যত্যয় ও ব্যর্থতা আমাদের সকলের জন্যে যে চরম খারাপ পরিণতি বহন করে আনবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়