মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ৩৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

এতোটা স্বচ্ছ হলে জনআস্থা তো থাকবেই---

অনলাইন ডেস্ক
এতোটা স্বচ্ছ হলে জনআস্থা তো থাকবেই---

‘হাজীগঞ্জ লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন : ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আয়-ব্যয় হিসাব উপস্থাপন’--এমন শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রথম পৃষ্ঠায় জায়গা না পেলেও আগ্রহী পাঠকমাত্রই সেটি পাঠ করলে হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে। কী লিখা আছে সংবাদটিতে, আসুন একটু পড়ে নেই।

সংবাদটিতে পাপ্পু মাহমুদ লিখেছেন, দেশের ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যাদুর্গত এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার পানিবন্দি মানুষের মাঝে প্রায় ৯ লাখ টাকার ত্রাণ (খাদ্য) সামগ্রী বিতরণ করেছে হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে হাজীগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য কাদের খান ত্রাণ সামগ্রী কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি দেশের তিন জেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে গত ২২ আগস্ট আমরা কয়েকজন লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করি এবং ২৩ আগস্ট থেকে অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু করি। তিনি বলেন, অনুদান সংগ্রহের শুরু থেকে আমরা দেশের মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন। তারা আমাদের হাতে টাকা, খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক তুলে দিয়েছেন। আমাদের সদস্যরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও পরনের কাপড় (পোশাক) পৌঁছে দিয়েছেন।আয়-ব্যয়ের হিসেব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিনের হিসাব প্রতিদিন আমাদের ফেসবুক পেজে উপস্থাপন করেছি এবং কোন্ এলাকার কোথায় এবং কাকে খাদ্যসামগ্রী ও পোশাক দিয়েছি তা আমাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে অথবা আমাদের কাছে হিসেব চাইলে দেখতে পারেন। আমরা প্রস্তুত আছি। কাদের খান বলেন, আমরা ২৩ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুদান সংগ্রহ ও ত্রাণ বিতরণ করেছি। এই ক'দিনে নগদ ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৩ টাকার সমমূল্যের খাদ্য ও ঔষধ মানুষ আমাদেরকে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। আমরা ১ হাজার ৩শ’ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। তিনি বলেন, এই ১ হাজার ৩শ’ জনকে প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৬৮০ টাকা সমমূল্যের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। পাশাপাশি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের ২ হাজার ৫শ’ পরিবারকে পোশাক দিয়েছি। অনুদানের নগদ ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকার মধ্যে আমরা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৭ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে আমাদের হাতে ৮৫ হাজার ৭৩০ টাকা রয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে যে টাকা রয়েছে, সেই টাকা পুনর্বাসন কাজে ব্যবহার করবো। আপনারা যেভাবে আমাদের পাশে ছিলেন, আশা করি ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা আপনাদের হয়ে দেশের অসহায়, অসচ্ছল কিংবা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবো।

হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সংবাদ সম্মেলন করে স্বল্পায়ু অস্তিত্বে নিজেদের স্বচ্ছতা তুলে ধরার প্রয়াসে অন্যরা কেমন অনুভব করছেন জানি না, আমরা অন্তত বিস্মিত। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে যে, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতা'লা সংগঠনের সদস্যদের অন্তরের খবর ও স্বচ্ছতা জানতেন বলেই তাদের প্রতি রহমত স্বরূপ জনআস্থা উপহার দিয়েছেন এবং সে কারণে তারা স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে ঋদ্ধ হয়েছেন এবং বন্যার্ত অসহায় মানুষের মাঝে সেটা সঠিকভাবে বিলাতে সক্ষম হয়েছেন।

আমরা মনে করি, জনআস্থা অর্জনের জন্যে ট্রানপারেন্সি বা স্বচ্ছতা একটা মোক্ষম বিষয়। এটি লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নেতৃস্থানীয়রা তাদের ত্রাণ তৎপরতা চালানোর আগেই রপ্ত করেছেন। এমনটি অনেক আন্তর্জাতিক মানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যেও দেখা যায় না, যেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যম পর্যন্ত গড়ায়। আমরা দুর্যোগ মোকাবেলায় লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দীর্ঘস্থায়িত্ব কামনা করছি এবং তাদের নিরন্তর কল্যাণ প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়